উচ্চশিক্ষা মানুষের কল্যাণে লাগানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

  • Update Time : ০১:৩৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩
  • / 139

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অন্য দেশের উন্নয়ন মডেল বাংলাদেশে কার্যকর হবে না উল্লেখ করে বাস্তবতার নিরিখে পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের অর্থে অর্জিত উচ্চশিক্ষা এবং জ্ঞান দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোরও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ এর নির্বাচিত ফেলোদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছর ১০ জনকে পিএইচডি ও ৩৮ জনকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময়ে জনগণের অর্থে অর্জিত জ্ঞান জনগণের কল্যাণেই কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জনগণের করের টাকায় আমরা গবেষণা অনুদান ও ফেলোশিপ দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচিত ফেলোদের প্রতি অনুরোধ, জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় আপনারা যে জ্ঞানার্জন করবেন তা যেন জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানো হয়।

১৪ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ, তাই দেশের কল্যাণেই নিজের দেশকে জানার এবং অনুভব করার তাগিদ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

তিনি বলেন, আগে মেধাবীদের দেশে ধরে রাখার কোন উদ্যোগ ছিল না। তেমন কোনো প্রতিষ্ঠানও ছিল না। আমরা কিন্তু এখন অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিয়েছি। শুধু মৌলিক গবেষণা নয়, প্রায়োগিক গবেষণার ওপর আমরা জোর দিয়েছি। কৃষি, শিল্প স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে গবেষকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সব প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় ‘গবেষণা ও উন্নয়ন’ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচলিত প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে দক্ষ জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অধ্যয়ন ও গবেষণা হতে হবে দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার আলোকে।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দেশের উন্নয়নে গণমূখী সব কাজই বিএনপি সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় পালাক্রমে বসে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং স্বৈরাচারী সামরিক শাসকেরা। শিক্ষাঙ্গনে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। সামরিক শাসক জিয়া ছাত্রদের হাতে তুলে দেয় অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকা। তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। জাতির পিতা হাজিদের জন্য হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করেছিলেন। দুঃখের বিষয় জিয়াউর রহমান এ হিজবুল বাহার জাহাজকে প্রমোদ তরী বানিয়েছিলেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের নিয়ে যাওয়া হয়।

ভোটের অধিকার যার যার হলেও সরকারের দায়িত্ব সেবা প্রদান বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সুশাসন, জনকল্যাণ ও উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বেসরকারি ব্যক্তিবর্গকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নিয়ে ৯৮ জন পিএইচডি ও ২৯৩ জন মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে অবদান রাখছেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


উচ্চশিক্ষা মানুষের কল্যাণে লাগানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

Update Time : ০১:৩৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অন্য দেশের উন্নয়ন মডেল বাংলাদেশে কার্যকর হবে না উল্লেখ করে বাস্তবতার নিরিখে পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের অর্থে অর্জিত উচ্চশিক্ষা এবং জ্ঞান দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোরও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ এর নির্বাচিত ফেলোদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছর ১০ জনকে পিএইচডি ও ৩৮ জনকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময়ে জনগণের অর্থে অর্জিত জ্ঞান জনগণের কল্যাণেই কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জনগণের করের টাকায় আমরা গবেষণা অনুদান ও ফেলোশিপ দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচিত ফেলোদের প্রতি অনুরোধ, জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় আপনারা যে জ্ঞানার্জন করবেন তা যেন জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানো হয়।

১৪ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ, তাই দেশের কল্যাণেই নিজের দেশকে জানার এবং অনুভব করার তাগিদ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

তিনি বলেন, আগে মেধাবীদের দেশে ধরে রাখার কোন উদ্যোগ ছিল না। তেমন কোনো প্রতিষ্ঠানও ছিল না। আমরা কিন্তু এখন অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিয়েছি। শুধু মৌলিক গবেষণা নয়, প্রায়োগিক গবেষণার ওপর আমরা জোর দিয়েছি। কৃষি, শিল্প স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে গবেষকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সব প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় ‘গবেষণা ও উন্নয়ন’ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচলিত প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে দক্ষ জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অধ্যয়ন ও গবেষণা হতে হবে দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার আলোকে।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দেশের উন্নয়নে গণমূখী সব কাজই বিএনপি সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় পালাক্রমে বসে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং স্বৈরাচারী সামরিক শাসকেরা। শিক্ষাঙ্গনে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। সামরিক শাসক জিয়া ছাত্রদের হাতে তুলে দেয় অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকা। তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। জাতির পিতা হাজিদের জন্য হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করেছিলেন। দুঃখের বিষয় জিয়াউর রহমান এ হিজবুল বাহার জাহাজকে প্রমোদ তরী বানিয়েছিলেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের নিয়ে যাওয়া হয়।

ভোটের অধিকার যার যার হলেও সরকারের দায়িত্ব সেবা প্রদান বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সুশাসন, জনকল্যাণ ও উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বেসরকারি ব্যক্তিবর্গকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নিয়ে ৯৮ জন পিএইচডি ও ২৯৩ জন মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে অবদান রাখছেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে।