ফুকুশিমার বর্জ্যপানি সাগরে ফেলায় অনুমোদন জাতিসংঘের

  • Update Time : ০৬:০৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / 146

অনলাইন ডেস্ক

ফুকুশিমার বর্জ্যপানি সাগরে ফেলায় অনুমোদন জাতিসংঘের
সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বর্জ্যপানি সাগরে ফেললে পরিবেশের ওপর যে প্রভাব পড়বে তা খুবই ‘নগণ্য’ বলে উল্লেখ করে পরিকল্পনাটি অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা।

বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলেছে, জাপানের এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করে। খবর: বিবিসি।

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে চুল্লি ঠাণ্ডা করতে ব্যবহৃত পানি জমা রাখার জায়গা ফুরিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বর্জ্যপানি সাগরে ফেলতে চাইছে জাপান। তবে এ জন্য কোনো সময়সূচি ঘোষণা করেনি। তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রয়োজনও রয়েছে।

এর আগে, টোকিও এই বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনা করলে তার বিরোধিতা করেছিল বেইজিং ও সিউল।

২০১১ সালে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে হওয়া সুনামিতে ডুবে গিয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি চুল্লি। চেরনোবিলের পর এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ পারমাণবিক বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ ঘোষণা তালেবানের

তখন পারমাণবিক কেন্দ্রের আশপাশের অঞ্চল থেকে দেড় লাখেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পারমাণবিক কেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য জাপান সরকারের ট্রিলিয়ন ইয়েন খরচ হয়েছে। পারমাণবিক কেন্দ্রটি তুলে নিতে কাজ শুরু হয়েছে। অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক দশক লাগতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফুকুশিমার বর্জ্যপানি সাগরে ফেলায় অনুমোদন জাতিসংঘের

Update Time : ০৬:০৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক

ফুকুশিমার বর্জ্যপানি সাগরে ফেলায় অনুমোদন জাতিসংঘের
সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বর্জ্যপানি সাগরে ফেললে পরিবেশের ওপর যে প্রভাব পড়বে তা খুবই ‘নগণ্য’ বলে উল্লেখ করে পরিকল্পনাটি অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা।

বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলেছে, জাপানের এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করে। খবর: বিবিসি।

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে চুল্লি ঠাণ্ডা করতে ব্যবহৃত পানি জমা রাখার জায়গা ফুরিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বর্জ্যপানি সাগরে ফেলতে চাইছে জাপান। তবে এ জন্য কোনো সময়সূচি ঘোষণা করেনি। তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রয়োজনও রয়েছে।

এর আগে, টোকিও এই বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনা করলে তার বিরোধিতা করেছিল বেইজিং ও সিউল।

২০১১ সালে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে হওয়া সুনামিতে ডুবে গিয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি চুল্লি। চেরনোবিলের পর এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ পারমাণবিক বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ ঘোষণা তালেবানের

তখন পারমাণবিক কেন্দ্রের আশপাশের অঞ্চল থেকে দেড় লাখেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পারমাণবিক কেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য জাপান সরকারের ট্রিলিয়ন ইয়েন খরচ হয়েছে। পারমাণবিক কেন্দ্রটি তুলে নিতে কাজ শুরু হয়েছে। অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক দশক লাগতে পারে।