ঝালকাঠিতে জাহাজে দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১৪

  • Update Time : ১১:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / 150

জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী-২’ থেকে তেল খালাসের সময় দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ পুলিশসহ ১৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ আনা হয়। পরে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে জাহাজে দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিটের চেষ্টায় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ২৫মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মালিকানাধীন সাগর নন্দিনী-২ জাহাজ থেকে ডিজেল ও পেট্রোল অন্য একটি ছোট ট্যাংকারে স্থানান্তরের কাজ চলছিল। এর মধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠি থানার ওসি নাসিরউদ্দিন সর্দার বলেন, এখানে পুলিশ, নৌ পুলিশ ও কোষ্ট গার্ড সদস্যরা ডিউটি পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- কনস্টেবল পলাশ (২৫), এ এসআই গণেশ (৪২), এসআই হাকিম (৫০), কনস্টেবল মেহেদী (২৭), কনস্টেবল শওকত (২৩), দীপ (২৪) নৌ-পুলিশের এটিএসআই হেলাল উদ্দিন (৫৫), নায়েক সিদ্দিক (৪৫), এসআই মোস্তফা (৪৩), শ্রমিক হালিম হাওলাদার (৫০), বাবুর্চি কাইয়ুম (৩২) ।

তবে একই জাহাজে পরপর দুইবার আগুন লাগা ও চারজন মানুষের মৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে ভিন্ন কিছু রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন ঝালকাঠী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির।

এর আগে, শনিবার ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামের ঐ তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ হয়েছিল। জাহাজটিতে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ছিল।

বিস্ফোরণের পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল, ঝালকাঠি, কাউখালী ও নলছিটির চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। এতে পাঁচজন দগ্ধ হয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রথম বিস্ফোরণের পর নদীতে ভেঙে পড়া জাহাজের পেছনের অংশ থেকে সোমবার তিনজনের এবং আগের দিন রোববার ইঞ্জিন রুম থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল।

বিকালে জাহাজটির উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু জাহাজের তেল খালাসের কাজ চলছিল। এর মধ্যেই সন্ধ্যায় আবার একই জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঝালকাঠিতে জাহাজে দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১৪

Update Time : ১১:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী-২’ থেকে তেল খালাসের সময় দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ পুলিশসহ ১৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ আনা হয়। পরে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে জাহাজে দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিটের চেষ্টায় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ২৫মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মালিকানাধীন সাগর নন্দিনী-২ জাহাজ থেকে ডিজেল ও পেট্রোল অন্য একটি ছোট ট্যাংকারে স্থানান্তরের কাজ চলছিল। এর মধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠি থানার ওসি নাসিরউদ্দিন সর্দার বলেন, এখানে পুলিশ, নৌ পুলিশ ও কোষ্ট গার্ড সদস্যরা ডিউটি পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- কনস্টেবল পলাশ (২৫), এ এসআই গণেশ (৪২), এসআই হাকিম (৫০), কনস্টেবল মেহেদী (২৭), কনস্টেবল শওকত (২৩), দীপ (২৪) নৌ-পুলিশের এটিএসআই হেলাল উদ্দিন (৫৫), নায়েক সিদ্দিক (৪৫), এসআই মোস্তফা (৪৩), শ্রমিক হালিম হাওলাদার (৫০), বাবুর্চি কাইয়ুম (৩২) ।

তবে একই জাহাজে পরপর দুইবার আগুন লাগা ও চারজন মানুষের মৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে ভিন্ন কিছু রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন ঝালকাঠী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির।

এর আগে, শনিবার ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামের ঐ তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ হয়েছিল। জাহাজটিতে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ছিল।

বিস্ফোরণের পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল, ঝালকাঠি, কাউখালী ও নলছিটির চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। এতে পাঁচজন দগ্ধ হয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রথম বিস্ফোরণের পর নদীতে ভেঙে পড়া জাহাজের পেছনের অংশ থেকে সোমবার তিনজনের এবং আগের দিন রোববার ইঞ্জিন রুম থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল।

বিকালে জাহাজটির উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু জাহাজের তেল খালাসের কাজ চলছিল। এর মধ্যেই সন্ধ্যায় আবার একই জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।