সাড়ে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রপ্তানি, প্রবৃদ্ধি ৬.৬৭%

  • Update Time : ১০:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩
  • / 117

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা, ডলার ও জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়াসহ নানা টানাপোড়েনের মধ্যেই রেকর্ড রপ্তানি আয় দেখল বাংলাদেশ।

বিদায়ী অর্থবছরে অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। এর আগে এত রপ্তানি কখনো দেখেনি বাংলাদেশ।

গত অর্থবছরের আগের অর্থবছরে (২০২১-২০২২) রপ্তানি হয়েছিল ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারের। ওই হিসাবে গত অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যে হালনাগাদ তথ্যে প্রকাশ করেছে তাতে রপ্তানির চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্ববাজারের অভিঘাতে অভ্যন্তরীণ বাজারেও নানা টানাপোড়েন শুরু হয়। এর মধ্যেই কয়েকমাস ধরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে চলে যায় রপ্তানি খাত।

মার্চ মাসে নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এপ্রিলে তা পৌঁছয় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশে।

পোশাক বিক্রির প্রবৃদ্ধিকে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগেনি রপ্তানি খাতকে। মে মাস থেকেই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করে। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ২৬ শতাংশের বেশি। জুন মাসে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় গত জুনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বরাবরের মতোই রপ্তানির নেতৃত্বে রয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। মোট রপ্তানি ৮২ শতাংশই এসেছে এই খাত থেকে। গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের। প্রবৃদ্ধির হার ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাড়ে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রপ্তানি, প্রবৃদ্ধি ৬.৬৭%

Update Time : ১০:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা, ডলার ও জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়াসহ নানা টানাপোড়েনের মধ্যেই রেকর্ড রপ্তানি আয় দেখল বাংলাদেশ।

বিদায়ী অর্থবছরে অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। এর আগে এত রপ্তানি কখনো দেখেনি বাংলাদেশ।

গত অর্থবছরের আগের অর্থবছরে (২০২১-২০২২) রপ্তানি হয়েছিল ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারের। ওই হিসাবে গত অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যে হালনাগাদ তথ্যে প্রকাশ করেছে তাতে রপ্তানির চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্ববাজারের অভিঘাতে অভ্যন্তরীণ বাজারেও নানা টানাপোড়েন শুরু হয়। এর মধ্যেই কয়েকমাস ধরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে চলে যায় রপ্তানি খাত।

মার্চ মাসে নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এপ্রিলে তা পৌঁছয় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশে।

পোশাক বিক্রির প্রবৃদ্ধিকে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগেনি রপ্তানি খাতকে। মে মাস থেকেই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করে। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ২৬ শতাংশের বেশি। জুন মাসে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় গত জুনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বরাবরের মতোই রপ্তানির নেতৃত্বে রয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। মোট রপ্তানি ৮২ শতাংশই এসেছে এই খাত থেকে। গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের। প্রবৃদ্ধির হার ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।