রাণীশংকৈলে কোচিং সেন্টার থেকে পিকনিকে গিয়ে নদীতে ডুবে ছাত্রের মৃত্যু

  • Update Time : ০৮:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / 154

ছবি: সংগৃহীত

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ প্রয়াগপুর গ্রামের সত্যজিত রায়ের ছেলে সাগর চন্দ্র (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী পিকনিকে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে। সাগর উপজেলার নেকমরদ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। এবং সে নেকমরদ থ্রী স্টার কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী হিসাবে পিকনিকে গিয়েছিল। গত শনিবার (১১মার্চ) দুপুর ৩ টার দিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের উজানে সেলফি তুলতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত শনিবার (১১ মার্চ) রাণীশংকৈল নেকমরদর থ্রি স্টার কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষাসফরে পিকনিকে আসে। ভ্রমণ শেষে তিস্তা ব্যারেজের উজানে ক্যানেলের পার্শ্বে জলকপাটে সেলফি তুলতে গিয়ে পা ফসকে পানিতে পরে যায় সাগর। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পরে সহপাঠীরা ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পথে সাগর মৃত্যু বরণ করেন।
তিস্তা ব্যারেজের টহলরত আনসার সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, রাণীশংকৈল এলাকা থেকে পিকনিকে আসা দলের সাগর চন্দ্র সেলফি তুলতে গিয়ে পানিতে পরে যায় সাঁতার না জানায় তার মৃত্যু হয়। হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপ্ত কুমার সিং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ব্যারেজের উজানে সেলফি তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। স্কুলছাত্রের মরদেহ ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনরা।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান নদীতে ডুবে সাগরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, ঘটনার দিন ওই ‘শিক্ষার্থীকে কোচিং সেন্টারের লোকজন উদ্ধার করে হাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্য সে মারা যায়। আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশ কোচিং সেন্টারের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ উপ-পরির্দশ মহসিন আলী মুঠোফোনে জানান এরকম কোন খবর আমরা পায়নি।
এ প্রসঙ্গে রাতোর ইউপি চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় বলেন, গতকাল সাগরের পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছ। পরদিন রবিবার ১২ মার্চ তার মরদেহ দাহ করা হয়। থ্রি স্টার কোচিং সেন্টারের পরিচালক খন্দকার ফারুকের সাথে সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যপারে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, অনুমতি ছাড়াই কোচিং সেন্টারের লোকজন কিভাবে পিকনিকে গেলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীশংকৈলে কোচিং সেন্টার থেকে পিকনিকে গিয়ে নদীতে ডুবে ছাত্রের মৃত্যু

Update Time : ০৮:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ প্রয়াগপুর গ্রামের সত্যজিত রায়ের ছেলে সাগর চন্দ্র (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী পিকনিকে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে। সাগর উপজেলার নেকমরদ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। এবং সে নেকমরদ থ্রী স্টার কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী হিসাবে পিকনিকে গিয়েছিল। গত শনিবার (১১মার্চ) দুপুর ৩ টার দিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের উজানে সেলফি তুলতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত শনিবার (১১ মার্চ) রাণীশংকৈল নেকমরদর থ্রি স্টার কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষাসফরে পিকনিকে আসে। ভ্রমণ শেষে তিস্তা ব্যারেজের উজানে ক্যানেলের পার্শ্বে জলকপাটে সেলফি তুলতে গিয়ে পা ফসকে পানিতে পরে যায় সাগর। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পরে সহপাঠীরা ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পথে সাগর মৃত্যু বরণ করেন।
তিস্তা ব্যারেজের টহলরত আনসার সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, রাণীশংকৈল এলাকা থেকে পিকনিকে আসা দলের সাগর চন্দ্র সেলফি তুলতে গিয়ে পানিতে পরে যায় সাঁতার না জানায় তার মৃত্যু হয়। হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপ্ত কুমার সিং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ব্যারেজের উজানে সেলফি তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। স্কুলছাত্রের মরদেহ ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনরা।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান নদীতে ডুবে সাগরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, ঘটনার দিন ওই ‘শিক্ষার্থীকে কোচিং সেন্টারের লোকজন উদ্ধার করে হাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্য সে মারা যায়। আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশ কোচিং সেন্টারের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ উপ-পরির্দশ মহসিন আলী মুঠোফোনে জানান এরকম কোন খবর আমরা পায়নি।
এ প্রসঙ্গে রাতোর ইউপি চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় বলেন, গতকাল সাগরের পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছ। পরদিন রবিবার ১২ মার্চ তার মরদেহ দাহ করা হয়। থ্রি স্টার কোচিং সেন্টারের পরিচালক খন্দকার ফারুকের সাথে সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যপারে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, অনুমতি ছাড়াই কোচিং সেন্টারের লোকজন কিভাবে পিকনিকে গেলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।