ভবনের নিচ থেকে আরও ৩ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ১৯

  • Update Time : ১০:৪১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
  • / 163

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর গুলিস্তান সংলগ্ন সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণকবলিত ভবনের নিচ থেকে আরও তিনজনের মরদেহ বের করে নিয়ে এসেছেন উদ্ধারকারীরা। এতে দুর্ঘটনাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনের নিচের (আন্ডারগ্রাউন্ডের) একটি বিধ্বস্ত দোকান থেকে মরদেহ তিনটি বের করে আনেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা।

ওই দোকানের পাশের আরেক দোকানের কয়েকজন কর্মী উদ্ধারকারীদের মধ্যে ছিলেন। তাদের একজন জানান, তিনজন তাদের দোকানে বসা ছিলেন। দুর্ঘটনার পর কংক্রিট ধসে তাদের সেই অবস্থায়ই মৃত্যু হয়েছে। ওই অবস্থা থেকেই তাদের বের করে আনা হয়েছে।

এর আগে বিকেলের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, নিহত ১৬ জনের মধ্যে দুজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ।

রাত সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণে ভবনের পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ভেতরে ঢোকা যাচ্ছে না। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটা কিছুটা স্ট্যাবল করে ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে। ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড অন্যান্য ফ্লোরে কেউ আটকে আছে কি না, সেজন্য অনুসন্ধান চালানো হবে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ভবনে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ভবনের নিচে কোনো গ্যাসের লাইনও ছিল। পানির ট্যাংক ছিল। কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

উদ্ধার তৎপরতাই এখন মূল কাজ উল্লেখ করে মাইন উদ্দিন বলেন, আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি উদ্ধার তৎপরতা। উদ্ধারকাজ শেষ হলে বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয়সহ অন্যান্য বিষয়ে কাজ শুরু হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভবনের নিচ থেকে আরও ৩ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ১৯

Update Time : ১০:৪১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর গুলিস্তান সংলগ্ন সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণকবলিত ভবনের নিচ থেকে আরও তিনজনের মরদেহ বের করে নিয়ে এসেছেন উদ্ধারকারীরা। এতে দুর্ঘটনাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনের নিচের (আন্ডারগ্রাউন্ডের) একটি বিধ্বস্ত দোকান থেকে মরদেহ তিনটি বের করে আনেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা।

ওই দোকানের পাশের আরেক দোকানের কয়েকজন কর্মী উদ্ধারকারীদের মধ্যে ছিলেন। তাদের একজন জানান, তিনজন তাদের দোকানে বসা ছিলেন। দুর্ঘটনার পর কংক্রিট ধসে তাদের সেই অবস্থায়ই মৃত্যু হয়েছে। ওই অবস্থা থেকেই তাদের বের করে আনা হয়েছে।

এর আগে বিকেলের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, নিহত ১৬ জনের মধ্যে দুজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ।

রাত সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণে ভবনের পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ভেতরে ঢোকা যাচ্ছে না। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটা কিছুটা স্ট্যাবল করে ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে। ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড অন্যান্য ফ্লোরে কেউ আটকে আছে কি না, সেজন্য অনুসন্ধান চালানো হবে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ভবনে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ভবনের নিচে কোনো গ্যাসের লাইনও ছিল। পানির ট্যাংক ছিল। কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

উদ্ধার তৎপরতাই এখন মূল কাজ উল্লেখ করে মাইন উদ্দিন বলেন, আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি উদ্ধার তৎপরতা। উদ্ধারকাজ শেষ হলে বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয়সহ অন্যান্য বিষয়ে কাজ শুরু হবে।