বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩ শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেন যে সাত জন

  • Update Time : ০৪:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / 189

বিনোদন রিপোর্ট

পর্দা নামলো ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’-এর তৃতীয় আসরের। দেশজুড়ে ১৫ দিনের এই বিশাল উৎসবের শেষটা হয় ৭টি ক্যাটাগরিতে ৭ জনকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি জানিয়ে। এরমধ্যে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পান নির্মাতা মুহাম্মদ কাইউম।

শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আয়োজন হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ এমপি, সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দুই নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও মসিহ্উদ্দিন শাকের।

এতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’র পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতার পুরস্কার পান নুরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি), বিশেষ জুরি পুরস্কার পান নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনা জলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক সাইয়ীদ কাশেফ শাহবাজী (চন্দ্রাবতী কথা), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ (শিমু), শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ (ফাগুন হাওয়ায়) এবং শ্রেষ্ঠ প্রোডাকশন ডিজাইনার খন্দকার সুজন (সাঁতাও)।

তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন।

তিনি আরও জানান, এবারের উৎসবে প্রদর্শিত ৩৬টি চলচ্চিত্র থেকে মনোনীত ২০ জনের মধ্যে উপরোক্ত ৭ জনকে চূড়ান্ত হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের অর্থমূল্য হলো শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র- ২ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা দেড় লাখ টাকা, বিশেষ জুরি ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ডিজাইনার এবং শ্রেষ্ঠ প্রোডাকশন ডিজাইনার প্রতিজন পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা।

পুরস্কার প্রদান শেষে সকল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে ছিলো বিশেষ প্রীতি সম্মেলনি।

দিনব্যাপী চলা এ সমাপনী আয়োজনে বিকাল ৩টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’ এবং ৪টায় ‘নোনা জলের কাব্য’।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩ শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেন যে সাত জন

Update Time : ০৪:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

বিনোদন রিপোর্ট

পর্দা নামলো ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’-এর তৃতীয় আসরের। দেশজুড়ে ১৫ দিনের এই বিশাল উৎসবের শেষটা হয় ৭টি ক্যাটাগরিতে ৭ জনকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি জানিয়ে। এরমধ্যে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পান নির্মাতা মুহাম্মদ কাইউম।

শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আয়োজন হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ এমপি, সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দুই নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও মসিহ্উদ্দিন শাকের।

এতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’র পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতার পুরস্কার পান নুরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি), বিশেষ জুরি পুরস্কার পান নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনা জলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক সাইয়ীদ কাশেফ শাহবাজী (চন্দ্রাবতী কথা), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ (শিমু), শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ (ফাগুন হাওয়ায়) এবং শ্রেষ্ঠ প্রোডাকশন ডিজাইনার খন্দকার সুজন (সাঁতাও)।

তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন।

তিনি আরও জানান, এবারের উৎসবে প্রদর্শিত ৩৬টি চলচ্চিত্র থেকে মনোনীত ২০ জনের মধ্যে উপরোক্ত ৭ জনকে চূড়ান্ত হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের অর্থমূল্য হলো শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র- ২ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা দেড় লাখ টাকা, বিশেষ জুরি ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ডিজাইনার এবং শ্রেষ্ঠ প্রোডাকশন ডিজাইনার প্রতিজন পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা।

পুরস্কার প্রদান শেষে সকল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে ছিলো বিশেষ প্রীতি সম্মেলনি।

দিনব্যাপী চলা এ সমাপনী আয়োজনে বিকাল ৩টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’ এবং ৪টায় ‘নোনা জলের কাব্য’।