ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে চান লুলা

  • Update Time : ০৭:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / 133

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্যা সিলভা বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে এক ভিডিও কলে ইউক্রেনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে তার দেশের প্রস্তাব পুনর্ব্যাক্ত করেছেন।

লুলা টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আমি সবেমাত্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে একটি ভিডিও মিটিং করেছি। আমি অন্য দেশের সাথে কথা বলার এবং শান্তি ও সংলাপের জন্য যে কোনো উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে ব্রাজিলের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

তিনি বলেন, যুদ্ধ কারো জন্যই লাভের বিষয় হতে পারে না। খবর এএফপি’র।

এক বছর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেন তার বৃহত্তর প্রতিবেশি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জি-টোয়েন্টি বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ কথোপকথন হয়।

অনেক পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার সহায়তায় ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং মস্কোর ওপর উপর্যূপরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে লুলা কিয়েভে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকার করে, এর পরিবর্তে, তিনি সমঝোতামূলক শান্তি চুক্তিতে আগ্রহী দেশগুলির একটি গ্রুপ তৈরি করেন।

তিনি ৩০ জানুয়ারি ব্রাসিলিয়ায় জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সাথে কথোপকথনে তার প্রস্তাবটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছেও তিনি তার প্রস্তাবটি তুলে ধরেন।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল গালুজিন গত সপ্তাহে বলেন, মস্কো প্রস্তাবটি অধ্যয়ন করছে। গত বছর, যুদ্ধের জন্য ‘পুতিনের মতোই জেলেনস্কি দায়ী’ বলে দাবি করায় লুলা সমালোচনার মুখে পড়েন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে চান লুলা

Update Time : ০৭:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্যা সিলভা বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে এক ভিডিও কলে ইউক্রেনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে তার দেশের প্রস্তাব পুনর্ব্যাক্ত করেছেন।

লুলা টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আমি সবেমাত্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে একটি ভিডিও মিটিং করেছি। আমি অন্য দেশের সাথে কথা বলার এবং শান্তি ও সংলাপের জন্য যে কোনো উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে ব্রাজিলের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

তিনি বলেন, যুদ্ধ কারো জন্যই লাভের বিষয় হতে পারে না। খবর এএফপি’র।

এক বছর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেন তার বৃহত্তর প্রতিবেশি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জি-টোয়েন্টি বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ কথোপকথন হয়।

অনেক পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার সহায়তায় ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং মস্কোর ওপর উপর্যূপরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে লুলা কিয়েভে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকার করে, এর পরিবর্তে, তিনি সমঝোতামূলক শান্তি চুক্তিতে আগ্রহী দেশগুলির একটি গ্রুপ তৈরি করেন।

তিনি ৩০ জানুয়ারি ব্রাসিলিয়ায় জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সাথে কথোপকথনে তার প্রস্তাবটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছেও তিনি তার প্রস্তাবটি তুলে ধরেন।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল গালুজিন গত সপ্তাহে বলেন, মস্কো প্রস্তাবটি অধ্যয়ন করছে। গত বছর, যুদ্ধের জন্য ‘পুতিনের মতোই জেলেনস্কি দায়ী’ বলে দাবি করায় লুলা সমালোচনার মুখে পড়েন।