মিথ্যাচারের জন্য নোবেল পেতেন ফখরুল : কাদের
- Update Time : ০৫:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / 194
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্বে কোনো দলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিধান নেই। থাকা উচিতও নয়। যদি থাকে, তাহলে মিথ্যাচার করার জন্য বিএনপিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত। মিথ্যাচারের জন্য কাউকে যদি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হতো, তাহলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার সহযোগী নেতারা পেতেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সেতুভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি তলে তলে সক্রিয়। তারা বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে গোয়েন্দাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু দেশ। ডোলান্ড লু কী বলেছেন এটার ভিডিও আছে। এটা আমার কথা না, তার কথা, মিথ্যাচারও না। তিনি সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশংসা করেছেন। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই। জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং থাকবে। নির্বাচন পর্যন্ত গণসংযোগ ও শান্তি সমাবেশ করবে।’
বিএনপির কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি না দিতে বিএনপি মহাসচিবের আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। আওয়ামী লীগ অবিরাম কর্মসূচিতে আছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কি কোনো প্রকার সংঘর্ষ বা সংঘাত সৃষ্টি করছে? আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংঘাতে জড়িয়েছে এমন কোনো চিত্র তারা দেখাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি মানেই গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন সন্ত্রাস করা। তাই ক্ষমতাসীন দল হিসেবে জনগণের জানমাল রক্ষায় কর্মসূচি দিয়ে মাঠে আছি। যাতে তারা (বিএনপি) কোনো নাশকতা করতে না পারে। এজন্য আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে থাকে। বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংঘাত করার ইচ্ছা নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি তাদের কার্যালয়ের সামনে পল্টনে সভা-সমাবেশ করলে সেখানকার রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তবে আওয়ামী লীগ ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়ের সামনে সভা-সমাবেশ করলে কোনো রাস্তা বন্ধ হয় না।’
এর আগে সেতুভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পদ্মাসেতুসহ সকল সেতুতে একমাত্র রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।