গাইবান্ধার আলোচিত উপনির্বাচনে নৌকার জয়

  • Update Time : ১২:০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 159

জেলা প্রতিনিধিঃ

বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন জয় পেয়েছেন। ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট।

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১৪৫টি কেন্দ্রের ফল পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।এর আগে বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়া হয়। ভোট পড়ে ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি।

এ উপনির্বাচনে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করার জন্য ১৪৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।

গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

প্রায় তিন মাস আগে ১২ অক্টোবর সিসি ক্যামেরায় ভোটের অনিয়ম দেখে মাঝপথে সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল কমিশন। বিষয়টি সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখেও পড়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে দ্বিতীয়বার ভোট গ্রহণে সব দিক থেকে এঁটেসেঁটে মাঠে নামে কমিশন। ভোটে অনিয়ম রুখতে স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা থেকে ১৪৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার ডেকে না হয়। এতে ভোট যেমন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তেমনি অনিয়মও রোখা গেছে বলে দাবি করেছে ইসি।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি এলাকার বাইরে থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, তা জানতে চাওয়া হয় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের কাছে। তিনি বলেছেন, উপনির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় প্রথমবার দায়িত্বে থাকা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বেশিরভাগ শাস্তির আওতায় এসেছে। এবার তাদের বাদ দিয়ে আশপাশের জেলা-উপজেলার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখা গেল, বাইরের কর্মকর্তারাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গাইবান্ধার আলোচিত উপনির্বাচনে নৌকার জয়

Update Time : ১২:০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

জেলা প্রতিনিধিঃ

বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন জয় পেয়েছেন। ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট।

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১৪৫টি কেন্দ্রের ফল পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।এর আগে বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়া হয়। ভোট পড়ে ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি।

এ উপনির্বাচনে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করার জন্য ১৪৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।

গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

প্রায় তিন মাস আগে ১২ অক্টোবর সিসি ক্যামেরায় ভোটের অনিয়ম দেখে মাঝপথে সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল কমিশন। বিষয়টি সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখেও পড়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে দ্বিতীয়বার ভোট গ্রহণে সব দিক থেকে এঁটেসেঁটে মাঠে নামে কমিশন। ভোটে অনিয়ম রুখতে স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা থেকে ১৪৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার ডেকে না হয়। এতে ভোট যেমন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তেমনি অনিয়মও রোখা গেছে বলে দাবি করেছে ইসি।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি এলাকার বাইরে থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, তা জানতে চাওয়া হয় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের কাছে। তিনি বলেছেন, উপনির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় প্রথমবার দায়িত্বে থাকা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বেশিরভাগ শাস্তির আওতায় এসেছে। এবার তাদের বাদ দিয়ে আশপাশের জেলা-উপজেলার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখা গেল, বাইরের কর্মকর্তারাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।