বিপর্যয়ের শঙ্কায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি

  • Update Time : ১০:৩৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / 208

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতায় হুমকিতে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র- জাপোরিজিয়া। যেকোনো মুহূর্তে বিপর্যয়ের শঙ্কায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে ডিজেলে চালু রাখা হয়েছে চুল্লি।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর পরই জাপোরিজিয়া দখলে নেয় রুশ বাহিনী। এরপর থেকে পরমাণুকেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।

নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রটি পর্যবেক্ষণ করে আইএইএ জানায়, ৩০টিরও বেশি হামলার চিহ্ন শনাক্ত হয়েছে।

সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনী আবারও হামলা শুরু করলে হুমকির মুখ পড়েছে চুল্লিটির নিরাপত্তা। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা চুল্লির ৬টি রিয়েক্টরের সবকটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল বলে দাবি করলেও পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফেয়েল গ্রোসি।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু বিষয়ক সংস্থা রোসাটমের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে হামলা বন্ধের পাশাপাশি পরমাণু কেন্দ্রটির চারপাশে সুরক্ষা জোন তৈরিতে জোর দিয়েছেন রাফেয়েল গ্রোসি।

৫ হাজার ৭শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে জাপোরিজিয়া, যা ইউক্রেনে মোট সরবরাহের এক পঞ্চমাংশ।

তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন।

রাফেয়েল গ্রোসি বলেছেন, ‘এই বিস্ফোরণের পেছনে যারাই থাকুক, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমি আগেও অনেকবার বলেছি, আপনারা আগুন নিয়ে খেলছেন!’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিপর্যয়ের শঙ্কায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি

Update Time : ১০:৩৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতায় হুমকিতে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র- জাপোরিজিয়া। যেকোনো মুহূর্তে বিপর্যয়ের শঙ্কায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে ডিজেলে চালু রাখা হয়েছে চুল্লি।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর পরই জাপোরিজিয়া দখলে নেয় রুশ বাহিনী। এরপর থেকে পরমাণুকেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।

নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রটি পর্যবেক্ষণ করে আইএইএ জানায়, ৩০টিরও বেশি হামলার চিহ্ন শনাক্ত হয়েছে।

সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনী আবারও হামলা শুরু করলে হুমকির মুখ পড়েছে চুল্লিটির নিরাপত্তা। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা চুল্লির ৬টি রিয়েক্টরের সবকটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল বলে দাবি করলেও পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফেয়েল গ্রোসি।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু বিষয়ক সংস্থা রোসাটমের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে হামলা বন্ধের পাশাপাশি পরমাণু কেন্দ্রটির চারপাশে সুরক্ষা জোন তৈরিতে জোর দিয়েছেন রাফেয়েল গ্রোসি।

৫ হাজার ৭শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে জাপোরিজিয়া, যা ইউক্রেনে মোট সরবরাহের এক পঞ্চমাংশ।

তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন।

রাফেয়েল গ্রোসি বলেছেন, ‘এই বিস্ফোরণের পেছনে যারাই থাকুক, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমি আগেও অনেকবার বলেছি, আপনারা আগুন নিয়ে খেলছেন!’