বাঁশখালীতে সমন্বিত চিকিৎসা সেবার দুয়ার খুলেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

  • Update Time : ১১:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • / 166

বাঁশখালী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা সেবার স্তরগুলো পুরোদমে চালু হওয়ায় সমন্বীত সেবার নতুন দুয়ার উম্নোচিত হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।ক্রমাগত সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় আউট ডোর ও ইনডোরে রোগীর উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিঃশ্বাস নেয়ারও সময় পাচ্ছেন না ডাক্তার, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।তাই সকলের আন্তরিক মনোভাবে সন্তুষ্ট জনক সেবা পাওয়ায় প্রাইভেট চেম্বার হতে আস্তে আস্তে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সর্বসাধারণ। বহুমাত্রিক সেবার সাথে নরমাল ডেলিভারি ও সিজার কার্যক্রম চালু হওয়ায় বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা।সূত্রমতে,
৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৫ জন চিকিৎসক ও ২৩ জন সেবিকা(মিডওয়াইফ সহ) জরুরী ও বহির্বিভাগে নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গর্ভবতী মা দের সেবা প্রদানের লক্ষে খোলা হয়েছে অপারেশন থিয়েটার সহ
আধুনিক চিকিৎসার সব যন্ত্রপাতি।এক সময় সেবা প্রদান দিতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হলেও,বর্তমানে সেই সকল প্রতিকূলতার অপসারণ ঘটিয়ে সেবা মান এগিয়ে নিয়ে যান বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা,ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. এস এম আরমান উল্লাহ চৌধুরী বলেন,উন্নত পরিবেশ পেলে রোগীদের অসুস্থতা কমে যায়। এই পরিবেশ ও সেবার কারণে রোগীর পরিমাণ বেড়েছে। আমরা ডাক্তাররাও অনেক ভালো সেবা দিতে চেষ্টা করছি স্যারের নির্দেশমতে । রোগীরাও নিয়ম মেনে হাসপাতালে সেবার জন্য আসছে। কিভাবে আরো সহজে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায় এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, মুজিব বর্ষের একটি স্লোগান ছিল ‘মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্য খাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ’।এই স্লোগানের মাধ্যমে একটি পরিকল্পনা নিয়েছি কীভাবে এই হাসপাতালের পরিবর্তন আনা যায়। এক সময় ফার্নিচার এর অভাবে ডাক্তারদের রুমের অবস্থা ছিল একদম সাদামাটা। এ বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলি। পরবর্তীতে এ সমস্যার সমাধান হয়।হাসপাতালের বিশেষ কোন প্রয়োজনে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সহায়তায় তা সমাধান করা হয়।এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ইউএনও
মহোদয় যথেষ্ট সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।তিনি আরো বলেন,আমাকে পরামর্শ ও লজিষ্টিক সাপোর্টসহ নানান ভাবে সহযোগিতা করেছেন,বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)চট্টগ্রাম,সিভিল সার্জন(চট্টগ্রাম) মহোদয়, স্থানীয় সাংসদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।বর্তমানে হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে থাকলেও এম্বুলেন্সটি পুরাতন এবং মূল ভবনটি পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ার কারণে সেবা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।আমি চাই বাঁশখালী বাসীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরো মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন হোক,যাতে বাঁশখালী বাসিকে অধিকতর উন্নত ও মানসম্মত সেবা দিতে পারি।এ লক্ষ্যে বর্তমানে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আন্তঃবিভাগ, বহির্বিভাগ বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান ছাড়াও এনসিডি কর্ণারে বিনামূল্যে দীর্ঘমেয়াদী রোগের চিকিৎসা এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণকরা হয় ,আইএমসিআই কর্ণারে শিশু রোগীদের চিকিৎসা, এএনসি /পিএনসি কর্ণারে প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা প্রদান, কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে চোখের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা, ভায়া সেন্টারের মাধ্যমে মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার শনাক্তকরণ করা,ল্যাব পরীক্ষা, জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা,আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা,কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং এক্সরে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মিত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে ইপিআই কার্যক্রম এর পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিনেশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলমান রয়েছে।
আমরা আশা করি সকলের সহযোগিতা ও উৎসাহে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে একটি মডেল হাসপাতাল এ পরিণত করা সম্ভব হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাঁশখালীতে সমন্বিত চিকিৎসা সেবার দুয়ার খুলেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

Update Time : ১১:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

বাঁশখালী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা সেবার স্তরগুলো পুরোদমে চালু হওয়ায় সমন্বীত সেবার নতুন দুয়ার উম্নোচিত হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।ক্রমাগত সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় আউট ডোর ও ইনডোরে রোগীর উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিঃশ্বাস নেয়ারও সময় পাচ্ছেন না ডাক্তার, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।তাই সকলের আন্তরিক মনোভাবে সন্তুষ্ট জনক সেবা পাওয়ায় প্রাইভেট চেম্বার হতে আস্তে আস্তে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সর্বসাধারণ। বহুমাত্রিক সেবার সাথে নরমাল ডেলিভারি ও সিজার কার্যক্রম চালু হওয়ায় বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা।সূত্রমতে,
৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৫ জন চিকিৎসক ও ২৩ জন সেবিকা(মিডওয়াইফ সহ) জরুরী ও বহির্বিভাগে নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গর্ভবতী মা দের সেবা প্রদানের লক্ষে খোলা হয়েছে অপারেশন থিয়েটার সহ
আধুনিক চিকিৎসার সব যন্ত্রপাতি।এক সময় সেবা প্রদান দিতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হলেও,বর্তমানে সেই সকল প্রতিকূলতার অপসারণ ঘটিয়ে সেবা মান এগিয়ে নিয়ে যান বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা,ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. এস এম আরমান উল্লাহ চৌধুরী বলেন,উন্নত পরিবেশ পেলে রোগীদের অসুস্থতা কমে যায়। এই পরিবেশ ও সেবার কারণে রোগীর পরিমাণ বেড়েছে। আমরা ডাক্তাররাও অনেক ভালো সেবা দিতে চেষ্টা করছি স্যারের নির্দেশমতে । রোগীরাও নিয়ম মেনে হাসপাতালে সেবার জন্য আসছে। কিভাবে আরো সহজে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায় এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, মুজিব বর্ষের একটি স্লোগান ছিল ‘মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্য খাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ’।এই স্লোগানের মাধ্যমে একটি পরিকল্পনা নিয়েছি কীভাবে এই হাসপাতালের পরিবর্তন আনা যায়। এক সময় ফার্নিচার এর অভাবে ডাক্তারদের রুমের অবস্থা ছিল একদম সাদামাটা। এ বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলি। পরবর্তীতে এ সমস্যার সমাধান হয়।হাসপাতালের বিশেষ কোন প্রয়োজনে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সহায়তায় তা সমাধান করা হয়।এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ইউএনও
মহোদয় যথেষ্ট সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।তিনি আরো বলেন,আমাকে পরামর্শ ও লজিষ্টিক সাপোর্টসহ নানান ভাবে সহযোগিতা করেছেন,বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)চট্টগ্রাম,সিভিল সার্জন(চট্টগ্রাম) মহোদয়, স্থানীয় সাংসদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।বর্তমানে হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে থাকলেও এম্বুলেন্সটি পুরাতন এবং মূল ভবনটি পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ার কারণে সেবা প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।আমি চাই বাঁশখালী বাসীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরো মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন হোক,যাতে বাঁশখালী বাসিকে অধিকতর উন্নত ও মানসম্মত সেবা দিতে পারি।এ লক্ষ্যে বর্তমানে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আন্তঃবিভাগ, বহির্বিভাগ বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান ছাড়াও এনসিডি কর্ণারে বিনামূল্যে দীর্ঘমেয়াদী রোগের চিকিৎসা এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণকরা হয় ,আইএমসিআই কর্ণারে শিশু রোগীদের চিকিৎসা, এএনসি /পিএনসি কর্ণারে প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা প্রদান, কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে চোখের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা, ভায়া সেন্টারের মাধ্যমে মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার শনাক্তকরণ করা,ল্যাব পরীক্ষা, জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা,আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা,কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং এক্সরে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মিত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে ইপিআই কার্যক্রম এর পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিনেশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলমান রয়েছে।
আমরা আশা করি সকলের সহযোগিতা ও উৎসাহে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে একটি মডেল হাসপাতাল এ পরিণত করা সম্ভব হবে।