নীলফামারীতে ধর্ষণের অভিযোগে পিতাপুত্র কারাগারে

  • Update Time : ০৮:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২
  • / 242

মশিয়ার রহমান , নীলফামারী প্রতিনিধি: 

নীলফামারীর জলঢাকায় কবিরাজি চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলায় শুক্রবার কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পুত্র মজিবুর রহমানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে জলঢাকা থানা পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমান (৪৫) ও ছেলে মজিবুর রহমান (৩০) উপজেলার বগুলাগাড়ি ব্রীজপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে চিকিৎসার কারণে ভুক্তভোগী নারী সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমানের। একপর্যায়ে কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে বশ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর রহমান। এরপর ওই নারী বিয়ের কথা বললে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও নির্যাতন করেন তিনি।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাড়া বাসায় যাওয়া ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমান।

এ ঘটনা স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বারবার যোগাযোগ করেও কথিত স্বামী স্বামী মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে তার বাড়িতে যান। এ সময় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে বাড়ির বাইরে টেনে এনে পাশের সেচ ক্যানেলের পাশে কবিরাজ মিজানুরের ছেলে মজিবুর রহমান ভুক্তভোগী নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ভুক্তভোগী নারী জ্ঞান হারালে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান তিনি।

খবর পেয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবার। অবস্থার অবনতি হলে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । এরপর গতকাল সন্ধ্যায় ওই নারীর মা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা করেন।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। ওই মামলায় কবিরাজ মিজানুর ও তার পুত্রকে আটক করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে ধর্ষণের অভিযোগে পিতাপুত্র কারাগারে

Update Time : ০৮:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২

মশিয়ার রহমান , নীলফামারী প্রতিনিধি: 

নীলফামারীর জলঢাকায় কবিরাজি চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলায় শুক্রবার কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পুত্র মজিবুর রহমানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে জলঢাকা থানা পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমান (৪৫) ও ছেলে মজিবুর রহমান (৩০) উপজেলার বগুলাগাড়ি ব্রীজপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে চিকিৎসার কারণে ভুক্তভোগী নারী সঙ্গে পরিচয় হয় কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমানের। একপর্যায়ে কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে বশ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর রহমান। এরপর ওই নারী বিয়ের কথা বললে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও নির্যাতন করেন তিনি।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাড়া বাসায় যাওয়া ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমান।

এ ঘটনা স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বারবার যোগাযোগ করেও কথিত স্বামী স্বামী মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে তার বাড়িতে যান। এ সময় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে বাড়ির বাইরে টেনে এনে পাশের সেচ ক্যানেলের পাশে কবিরাজ মিজানুরের ছেলে মজিবুর রহমান ভুক্তভোগী নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ভুক্তভোগী নারী জ্ঞান হারালে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান তিনি।

খবর পেয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবার। অবস্থার অবনতি হলে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । এরপর গতকাল সন্ধ্যায় ওই নারীর মা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা করেন।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। ওই মামলায় কবিরাজ মিজানুর ও তার পুত্রকে আটক করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।