আজ মহা ষষ্ঠী

  • Update Time : ১১:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • / 361

পাপ্পু কুমার:

আজ মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গা পুজো । দেবী দুর্গা, মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন,এই জন্য উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয় হয়।

শুরু হয়ে গিয়েছে মন্ডপে মন্ডপে উৎসবের আমেজ। দূগাপূজা দিয়ে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের মধ্যে সবথেকে বড় পুজো। এই আরাধনা অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য। মহালয়ার পর থেকেই পুজোর দিন গোনা শুরু হয়ে যায়। তবে রীতিনীতি মেনে দেবীর পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই। আর আজ সেই শুভক্ষণ, চলতি বছরের দুর্গোৎসবের সূচনা।

মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় পুজো। পৌরাণিক কাহিনীতে কথিত রয়েছে, মহাষষ্ঠীর দিনে উমা কৈলাস থেকে তাঁর সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে মর্ত্যে অবতরণ করেন। এরপর এই দিন দুর্গার বোধনের মাধ্যমে পরবর্তী সমস্ত আচার অনুষ্ঠান শুরু হয় মণ্ডপে মণ্ডপে। শোনা যায় ঢাকের আওয়াজ। আলোয় সাজে পুজোর প্যান্ডেল থেকে বাড়ির মন্দির পর্যন্ত।

ষষ্ঠীর বোধন

বোধন শব্দের যদি আক্ষরিক অর্থ হল জাগ্ৰত করা। দুর্গা পুজোর একেবারে প্রথমেই তাই এই রীতির মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আবাহন করা হয় মর্ত্যে । ষষ্ঠীর সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় তার প্রক্রিয়া । এরপর সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলে পুজো এবং প্রার্থনা করা হয় যাতে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কোনো রকম বিঘ্ন না ঘটে পুজো পর্বে। ঘট এবং জলে পূর্ণ একটি তামার পাত্র মণ্ডপের এক কোণে স্থাপন করা হয় । সেখানে আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গা এবং চণ্ডীর। তারপর শুরু হয় বোধন পর্ব। এরপর একে একে অধিবাস এবং আমন্ত্রণের পর্ব।

চলতি বছরে দেবী দুর্গার আগমন গজে, যার অর্থ বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। অন্যদিকে দেবীর গমন নৌকায় যার অর্থ জল এবং শস্যবৃদ্ধি। বিগত দুটি বছর করোনার প্রকোপ বঙ্গবাসীর পুজোর আনন্দকে কিছুটা হলেও ফিকে করে দিয়েছিল। তবে এই বছর সেই সমস্ত বেড়াজাল কাটিয়ে মুক্ত বঙ্গ সন্তানরা। নিশ্চিন্তে চলতি বছরের দুর্গোৎসব মনের প্রাণে আনন্দ করে কাটাতে পারবেন তাঁরা। আর আজ থেকে শুরু সেই আনন্দ মুহূর্তের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আজ মহা ষষ্ঠী

Update Time : ১১:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

পাপ্পু কুমার:

আজ মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গা পুজো । দেবী দুর্গা, মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন,এই জন্য উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয় হয়।

শুরু হয়ে গিয়েছে মন্ডপে মন্ডপে উৎসবের আমেজ। দূগাপূজা দিয়ে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের মধ্যে সবথেকে বড় পুজো। এই আরাধনা অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য। মহালয়ার পর থেকেই পুজোর দিন গোনা শুরু হয়ে যায়। তবে রীতিনীতি মেনে দেবীর পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই। আর আজ সেই শুভক্ষণ, চলতি বছরের দুর্গোৎসবের সূচনা।

মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় পুজো। পৌরাণিক কাহিনীতে কথিত রয়েছে, মহাষষ্ঠীর দিনে উমা কৈলাস থেকে তাঁর সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে মর্ত্যে অবতরণ করেন। এরপর এই দিন দুর্গার বোধনের মাধ্যমে পরবর্তী সমস্ত আচার অনুষ্ঠান শুরু হয় মণ্ডপে মণ্ডপে। শোনা যায় ঢাকের আওয়াজ। আলোয় সাজে পুজোর প্যান্ডেল থেকে বাড়ির মন্দির পর্যন্ত।

ষষ্ঠীর বোধন

বোধন শব্দের যদি আক্ষরিক অর্থ হল জাগ্ৰত করা। দুর্গা পুজোর একেবারে প্রথমেই তাই এই রীতির মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আবাহন করা হয় মর্ত্যে । ষষ্ঠীর সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় তার প্রক্রিয়া । এরপর সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলে পুজো এবং প্রার্থনা করা হয় যাতে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কোনো রকম বিঘ্ন না ঘটে পুজো পর্বে। ঘট এবং জলে পূর্ণ একটি তামার পাত্র মণ্ডপের এক কোণে স্থাপন করা হয় । সেখানে আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গা এবং চণ্ডীর। তারপর শুরু হয় বোধন পর্ব। এরপর একে একে অধিবাস এবং আমন্ত্রণের পর্ব।

চলতি বছরে দেবী দুর্গার আগমন গজে, যার অর্থ বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। অন্যদিকে দেবীর গমন নৌকায় যার অর্থ জল এবং শস্যবৃদ্ধি। বিগত দুটি বছর করোনার প্রকোপ বঙ্গবাসীর পুজোর আনন্দকে কিছুটা হলেও ফিকে করে দিয়েছিল। তবে এই বছর সেই সমস্ত বেড়াজাল কাটিয়ে মুক্ত বঙ্গ সন্তানরা। নিশ্চিন্তে চলতি বছরের দুর্গোৎসব মনের প্রাণে আনন্দ করে কাটাতে পারবেন তাঁরা। আর আজ থেকে শুরু সেই আনন্দ মুহূর্তের।