ভারতের আদানি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী

  • Update Time : ১০:২৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 152

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

প্রথম এশীয় হিসেবে শীর্ষ তিনে উঠে আসার কয়েক সপ্তাহ পরই শুক্রবার ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার ট্র্যাকারে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী হিসেবে উঠে এসেছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি।

ফোর্বসের মতে, মোট সম্পদ রাতারাতি চার বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৫৪ বিলিয়ন হওয়ায় তিনি এলভিএমএইচ-এর বার্নার্ড আর্নল্ট ও অ্যামাজনের জেফ বেজোর্সকে পেছনে ফেলে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেন।

টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ২৭০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ নিয়ে যথারীতি শীর্ষে রয়েছেন।

আর্নাল্ট ২০২১ সালের মে মাসে কয়েকবার শীর্ষস্থান দখল করেন। কোম্পানির শেয়ারের দাম ওঠা-নামা করায় আদানি ও আর্নাল্ট পরস্পর দুই নম্বর অবস্থান বিনিময় করেন।

ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানির মালিক ৬০ বছর বয়সী আদানি বন্দর ও পণ্য ব্যবসার মাধ্যমে তার ভাগ্য গড়েছেন। তার ব্যবসা কয়লা খনি, ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে বিমানবন্দর ও সংবাদ মাধ্যমে বিস্তৃত।

আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি পাওয়ার, আদানি পোর্টস এবং আদানি গ্রিন এনার্জিসহ অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এই বছর আদানি অপর ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হন।

বিশ্লেষক অনুমান নির্দেশ করে যে, আদানির সাতটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাজার মূলধনও শুক্রবার সকালে টাটা গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে মোটামুটিভাবে ছাড়িয়ে যায়। এতে করে আদানি গ্রুপ ভারতের বৃহত্তম গ্রুপে পরিণত হয়।

গৌতম আদানি গুজরাটের পশ্চিম রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করার আগে তিনি কলেজ ছেড়ে হীরা শিল্পের কাজে যোগ দেন।

১৯৯৫ সালে তিনি গুজরাটের মুন্দ্রায় একটি বাণিজ্যিক শিপিং বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার কাজ পান। বন্দরটি অচিরেই ভারতের বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হয়।

একই সময়ে আদানি গ্রুপ ভারত ও বিদেশে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ও কয়লা খনির ক্ষেত্র প্রসারিত করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রুপটি একটি নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নিয়ে পেট্রোকেমিক্যাল, সিমেন্ট, ডেটা সেন্টার এবং তামা পরিশোধন ব্যবসায় প্রবেশ করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভারতের আদানি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী

Update Time : ১০:২৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

প্রথম এশীয় হিসেবে শীর্ষ তিনে উঠে আসার কয়েক সপ্তাহ পরই শুক্রবার ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার ট্র্যাকারে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী হিসেবে উঠে এসেছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি।

ফোর্বসের মতে, মোট সম্পদ রাতারাতি চার বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৫৪ বিলিয়ন হওয়ায় তিনি এলভিএমএইচ-এর বার্নার্ড আর্নল্ট ও অ্যামাজনের জেফ বেজোর্সকে পেছনে ফেলে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেন।

টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ২৭০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ নিয়ে যথারীতি শীর্ষে রয়েছেন।

আর্নাল্ট ২০২১ সালের মে মাসে কয়েকবার শীর্ষস্থান দখল করেন। কোম্পানির শেয়ারের দাম ওঠা-নামা করায় আদানি ও আর্নাল্ট পরস্পর দুই নম্বর অবস্থান বিনিময় করেন।

ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানির মালিক ৬০ বছর বয়সী আদানি বন্দর ও পণ্য ব্যবসার মাধ্যমে তার ভাগ্য গড়েছেন। তার ব্যবসা কয়লা খনি, ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে বিমানবন্দর ও সংবাদ মাধ্যমে বিস্তৃত।

আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি পাওয়ার, আদানি পোর্টস এবং আদানি গ্রিন এনার্জিসহ অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এই বছর আদানি অপর ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হন।

বিশ্লেষক অনুমান নির্দেশ করে যে, আদানির সাতটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাজার মূলধনও শুক্রবার সকালে টাটা গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে মোটামুটিভাবে ছাড়িয়ে যায়। এতে করে আদানি গ্রুপ ভারতের বৃহত্তম গ্রুপে পরিণত হয়।

গৌতম আদানি গুজরাটের পশ্চিম রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করার আগে তিনি কলেজ ছেড়ে হীরা শিল্পের কাজে যোগ দেন।

১৯৯৫ সালে তিনি গুজরাটের মুন্দ্রায় একটি বাণিজ্যিক শিপিং বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার কাজ পান। বন্দরটি অচিরেই ভারতের বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হয়।

একই সময়ে আদানি গ্রুপ ভারত ও বিদেশে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ও কয়লা খনির ক্ষেত্র প্রসারিত করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রুপটি একটি নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নিয়ে পেট্রোকেমিক্যাল, সিমেন্ট, ডেটা সেন্টার এবং তামা পরিশোধন ব্যবসায় প্রবেশ করেছে।