পোশাক নিয়ে উচ্চ আদালতের করা মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে রাবিতে মানববন্ধন

  • Update Time : ০২:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 202

রনি আহমেদ,রাবি প্রতিনিধি:

দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় বাংলাদেশের উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল ছাত্রী। আজ রবিবার (২৮শে আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ ধন্যবাদ জানায়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা, পোশাকের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানিকারক ও উচ্চ আদালতকে কটূক্তিকারীদের বিচার দাবী করেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদা খাতুন বলেন, গত ১৬ই আগস্ট, ২০২২ তারিখ একটি মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত পোশাকের স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। উচ্চ আদালত এক পর্যবেক্ষণে কোন সভ্য দেশে অশালীন পোশাক পরে কেউ রেলওয়ে স্টেশনে যায় কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন। আমরা উচ্চ আদালতের এ সুন্দর পর্যবেক্ষণ ও বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানাই।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বেলি ফুল বলেন, অশালীন পোশাক পরিহিতা নারীদের কারণে সাধারণ নারীরা প্রতিনিয়ত বিব্রত হন। তিনি আরো বলেন, অশালীন মানেই বর্জনীয়। তাই কোন ধরনের অশালীন সংস্কৃতি আমরা গ্রহণ করতে পারি না।

মানববন্ধনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার বলেন, এক নারীর অশালীন পোশাক অন্য নারীর নির্যাতনের কারণ হতে পারে। যেমন- কোন অশালীন পোশাক পরিহিতাকে দেখে হয়ত কোন খারাপ লোক যৌন উত্তেজিত হলো, কিন্তু সেখানে সেই উত্তেজনা নিরসনের সুযোগ পেলো না। সুযোগ বুঝে সে অন্য কোন নিরীহ ও দুর্বল নারীর উপর তা প্রয়োগ করলো। এভাবে এক নারীর অশালীনের পোশাকের কারণে অন্য নারীও নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হতে পারেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা, পোশাকের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানিকারক ও উচ্চ আদালতকে কটূক্তিকারীদের বিচার দাবী করেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত ১৮ মে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় তরুণীকে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলাকে পুলিশ ৩০ মে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার শিলার জামিন আবেদনের শুনানিতে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন তরুণী যে ধরনের পোশাক পরেছিলেন তা দেশের বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই কি না? আমাদের দেশের কৃষ্টি-কালচার অনুযায়ী গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকার কোনো অনুষ্ঠানেও এ ধরনের পোশাক দৃষ্টিকটু।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পোশাক নিয়ে উচ্চ আদালতের করা মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে রাবিতে মানববন্ধন

Update Time : ০২:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২

রনি আহমেদ,রাবি প্রতিনিধি:

দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় বাংলাদেশের উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল ছাত্রী। আজ রবিবার (২৮শে আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ ধন্যবাদ জানায়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা, পোশাকের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানিকারক ও উচ্চ আদালতকে কটূক্তিকারীদের বিচার দাবী করেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদা খাতুন বলেন, গত ১৬ই আগস্ট, ২০২২ তারিখ একটি মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত পোশাকের স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। উচ্চ আদালত এক পর্যবেক্ষণে কোন সভ্য দেশে অশালীন পোশাক পরে কেউ রেলওয়ে স্টেশনে যায় কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন। আমরা উচ্চ আদালতের এ সুন্দর পর্যবেক্ষণ ও বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানাই।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বেলি ফুল বলেন, অশালীন পোশাক পরিহিতা নারীদের কারণে সাধারণ নারীরা প্রতিনিয়ত বিব্রত হন। তিনি আরো বলেন, অশালীন মানেই বর্জনীয়। তাই কোন ধরনের অশালীন সংস্কৃতি আমরা গ্রহণ করতে পারি না।

মানববন্ধনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার বলেন, এক নারীর অশালীন পোশাক অন্য নারীর নির্যাতনের কারণ হতে পারে। যেমন- কোন অশালীন পোশাক পরিহিতাকে দেখে হয়ত কোন খারাপ লোক যৌন উত্তেজিত হলো, কিন্তু সেখানে সেই উত্তেজনা নিরসনের সুযোগ পেলো না। সুযোগ বুঝে সে অন্য কোন নিরীহ ও দুর্বল নারীর উপর তা প্রয়োগ করলো। এভাবে এক নারীর অশালীনের পোশাকের কারণে অন্য নারীও নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হতে পারেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা, পোশাকের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানিকারক ও উচ্চ আদালতকে কটূক্তিকারীদের বিচার দাবী করেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত ১৮ মে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় তরুণীকে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলাকে পুলিশ ৩০ মে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার শিলার জামিন আবেদনের শুনানিতে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন তরুণী যে ধরনের পোশাক পরেছিলেন তা দেশের বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই কি না? আমাদের দেশের কৃষ্টি-কালচার অনুযায়ী গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকার কোনো অনুষ্ঠানেও এ ধরনের পোশাক দৃষ্টিকটু।