অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে মুরগির খামার : বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন
- Update Time : ০৮:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
- / 261
এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, সোনারায়,তারাপুর, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন সহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামে-গঞ্জে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন ।নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামার স্থাপন করা হয়েছে।খামার গুলো অপরিকল্পিত গড়ে উঠায় মুরগীর বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়,প্রতিবছর কেউ না কেউ গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্রয়লার কিংবা লেয়ার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে প্রতিটি খামারে প্রায় এক হাজার থেকে দুই হাজার পর্যন্ত মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।মুরগীর বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে থাকা বসবাসরত মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সরজমিনে গেলে দেখা যায়, খামার গুলোর আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দা মানিক বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই খামার। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা-২০০৮ মানা হয়নি।
ময়েজ মিয়ার নতুন হতে কদমতলা আসা আলম মিয়া নামের এক ভ্যানচালকের সাথে কথোপকথনে তিনি বলেন,রাস্তার পাশে খামার থাকলে বিষ্ঠার দুর্গন্ধে ঐ জায়গাটুকু গাড়ি চালিয়ে আসতে খুব কষ্ট হয়।নিঃশ্বাস নেওয়া যায়না দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসতে হয়।এসব দুর্গন্ধের কারণে মাঝেমধ্যে অসুস্থ হতে হয়।তাই সরকারি নিয়মনীতি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী খামার স্থাপন করা দরকার তাতে সকলের দূর্ভোগ কমবে।
খামার থেকে কিছুটা দূরে এমন কিছু খামার মালিকের বাড়িতে সাক্ষাতের জন্য গেলে বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।দুএক জন কে পাওয়া গেলেও তারা খামার বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিম বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে খামার স্থাপন করা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।