সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লায় সোহেল (৩৮) নামে এক শ্রমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে তার স্ত্রী জোহরা বেগম । তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সোহেলের স্ত্রীর নামে সোহেলের পিতা দেবিদ্বার থানায় মামলা করেছে এবং বৃহস্পতিবার(৪ আগস্ট) তাকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গুরুতর আহত সোহেলকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল ৭/৮ টার দিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করে পুরুষাঙ্গ জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে।তবে চিকিৎসকরা বলছে এখনো জোড়া লাগানো যাবে কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে,সোহেল কুমিল্লা নিমসার বাজারে শ্রমিকের কাজ করতেন।তার গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আন্দিরপার। তার স্ত্রী জোহরা বেগম দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ এলাকার আলী মিয়ার মেয়ে।১০/১২ বছরের সংসারে ৪ টি সন্তান রয়েছে।মাঝে মধ্যে উভয়ের সাথে ঝগড়া হতো।সন্তানদের কথা চিন্তা করে স্বামী সোহেল এ সকল ঝগড়া গুলো হাসিমুখে মেনে নিয়ে সংসার জীবন অতিবাহিত করছিলেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত্রে ১০ টার দিকে ঘরে ৩ ছেলে-মেয়ে মরিয়াম(৫), হাবিবুর রহমান(৩), মারিয়া(৯ মাস) কে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন সোহেল।আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে স্ত্রী বটি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিলে সোহেল রক্ত দেখে তার বটি হাত দিয়ে ধরে চিৎকার দিলে আশপাশের সবাই এসে স্ত্রীকে ধরে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ সোহেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।প্রথমে চান্দিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যাম্বুলেন্সে করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এ ঘটনায় সোহেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।সোহেলের বাবা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।আজ আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।