ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির নামাজ ও মোনাজাত

  • Update Time : ০৮:২১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
  • / 150

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় চলমান তাপদাহ ও প্রচন্ড খরার কারণে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ ও মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা৷ সোমবার(১৮ জুলাই) সকাল ৭ টায় উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের যাদুরাণী বড়পুকুর পাড় ঈদগাহ মাঠে শায়েখ এজাবুদ্দিন ইমামতিত্বে এ নামাজ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

আমার জীবনে এত রোদের তাপমাত্রা দেখিনি, ঘরের ভিতরে বা বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছেনা, রুমের ভিতরে ফ্যানের বাতাসেও কাজ করছেনা, আমি নিজে একজন কৃষক, কৃষির ওপর আমাদের এলাকার সবাই নির্ভর করে, এখন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমন লাগানো যাচ্ছেনা, তবুও যারা সেচ দিয়ে আমন রোপণ করেছেন তাদের জমির মাটি ফেটে গেছে, আমন ধানও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা, আল্লাহ যাতে করে আমাদের বৃষ্টি দিয়ে উপকার করেন তার আশায় এসেছি। বৃষ্টির জন্য নামাজ-মোনাজাত শেষে এভাবেই বলছিলেন যাদুরাণী গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ৷

আরেক মুসল্লি রায়হান বিন ইসা বলেন,এমন রোদে রুমের বাইরে বের হওয়া যায়না। আর রুমের ভিতরে থাকাও কঠিন। আমরা কৃষি দিয়ে সংসার চালায়। বৃষ্টির কারণে আমরা আমন রোপন করতে পারছিনা৷ আর এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজকে বৃষ্টির জন্য আমারা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।

নামাজের ইমামতি শেষ করে শায়েখ এজাবুদ্দিন বলেন,আমাদের জেলায় অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। বৃষ্টির কারণে আজকে আমরা দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি ও মোনাজাত করেছি। তীব্র গরমে প্রতিটি পরিবারে অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। আমরা বৃষ্টির অভাবে আমন রোপন করতে পারছিনা৷ সেজন্য বৃষ্টির জন্য নামাজ-মোনাজাত করেছি। আজকে বৃষ্টি না হলে আমরা আগামীকাল ও পরশু দিন আবারো নামাজ আদায় করব ইনশাআল্লাহ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির নামাজ ও মোনাজাত

Update Time : ০৮:২১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় চলমান তাপদাহ ও প্রচন্ড খরার কারণে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ ও মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা৷ সোমবার(১৮ জুলাই) সকাল ৭ টায় উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের যাদুরাণী বড়পুকুর পাড় ঈদগাহ মাঠে শায়েখ এজাবুদ্দিন ইমামতিত্বে এ নামাজ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

আমার জীবনে এত রোদের তাপমাত্রা দেখিনি, ঘরের ভিতরে বা বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছেনা, রুমের ভিতরে ফ্যানের বাতাসেও কাজ করছেনা, আমি নিজে একজন কৃষক, কৃষির ওপর আমাদের এলাকার সবাই নির্ভর করে, এখন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমন লাগানো যাচ্ছেনা, তবুও যারা সেচ দিয়ে আমন রোপণ করেছেন তাদের জমির মাটি ফেটে গেছে, আমন ধানও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা, আল্লাহ যাতে করে আমাদের বৃষ্টি দিয়ে উপকার করেন তার আশায় এসেছি। বৃষ্টির জন্য নামাজ-মোনাজাত শেষে এভাবেই বলছিলেন যাদুরাণী গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ৷

আরেক মুসল্লি রায়হান বিন ইসা বলেন,এমন রোদে রুমের বাইরে বের হওয়া যায়না। আর রুমের ভিতরে থাকাও কঠিন। আমরা কৃষি দিয়ে সংসার চালায়। বৃষ্টির কারণে আমরা আমন রোপন করতে পারছিনা৷ আর এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজকে বৃষ্টির জন্য আমারা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।

নামাজের ইমামতি শেষ করে শায়েখ এজাবুদ্দিন বলেন,আমাদের জেলায় অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। বৃষ্টির কারণে আজকে আমরা দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি ও মোনাজাত করেছি। তীব্র গরমে প্রতিটি পরিবারে অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। আমরা বৃষ্টির অভাবে আমন রোপন করতে পারছিনা৷ সেজন্য বৃষ্টির জন্য নামাজ-মোনাজাত করেছি। আজকে বৃষ্টি না হলে আমরা আগামীকাল ও পরশু দিন আবারো নামাজ আদায় করব ইনশাআল্লাহ।