স্নেক দ্বীপে ফসফরাস বোমা ফেলার অভিযোগ

  • Update Time : ১০:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
  • / 150

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের ‘স্নেক আইল্যান্ডে’ রাশিয়া ফসফরাস অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। কৃষ্ণ সাগরের ওই অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের ঠিক একদিন পরেই এ অভিযোগ করলো ইউক্রেন।

টেলিগ্রামে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, শুক্রবার (১ জুলাই) রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ থেকে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপকারী দুই ধরণের যুদ্ধবিমান দ্বীপটির ওপর দিয়ে উড়ে গেছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করে, রুশ বিমান বাহিনীর এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান দু’বার স্নেক দ্বীপে ফসফরাস বোমা হামলা চালিয়েছে।

ইউক্রেনের সরকারি বিবৃতির সাথে একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বিমান দ্বীপটিতে কমপক্ষে দু’বার বোমা ফেলেছে এবং সেখানে সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো সাদা ফসফরাস বোমা ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক আইনে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ফসফরাস অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে জাতিসংঘ। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ।

তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার ওই দ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে। একইসঙ্গে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানিতে জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানায় পুতিন সরকার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


স্নেক দ্বীপে ফসফরাস বোমা ফেলার অভিযোগ

Update Time : ১০:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের ‘স্নেক আইল্যান্ডে’ রাশিয়া ফসফরাস অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। কৃষ্ণ সাগরের ওই অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের ঠিক একদিন পরেই এ অভিযোগ করলো ইউক্রেন।

টেলিগ্রামে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, শুক্রবার (১ জুলাই) রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ থেকে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপকারী দুই ধরণের যুদ্ধবিমান দ্বীপটির ওপর দিয়ে উড়ে গেছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করে, রুশ বিমান বাহিনীর এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান দু’বার স্নেক দ্বীপে ফসফরাস বোমা হামলা চালিয়েছে।

ইউক্রেনের সরকারি বিবৃতির সাথে একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বিমান দ্বীপটিতে কমপক্ষে দু’বার বোমা ফেলেছে এবং সেখানে সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো সাদা ফসফরাস বোমা ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক আইনে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ফসফরাস অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে জাতিসংঘ। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ।

তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার ওই দ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে। একইসঙ্গে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানিতে জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানায় পুতিন সরকার।