নীলফামারীতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

  • Update Time : ০৯:০০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • / 166

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি: 

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামে শ্বশুড় বাড়িতে জামাইকে মারধর ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী মাঝাপাড়া গ্রামে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরন করেছে।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক বিপুল ইসলাম সাদ্দাম (২৫) এর সাথে দুই বছর আগে একই ইউনিয়নের কাছারীপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে লুবাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে লুবাইয়া স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। গত ৬ জুন সোমবার লুবাইয়া তাঁর স্বামীকে না জানিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। খবর পেয়ে স্বামী সাদ্দাম ৭ জুন উত্তরা ইপিজেডে ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীকে আনতে শশুর বাড়িতে যান। শশুর বাড়িতে গিয়ে পারিবারিক কোলহের জেরে শ্বশুড় শ্বাশুড়িসহ অন্যারা মিলে জামাইকে মারধর করলে জামাই সাদ্দাম অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সাদ্দামের ভগ্নিপতি মাজেদুল ইসলাম ও চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, সাদ্দামের বিয়ের পর তাঁর শ্বশুড় তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুড় জামাই এবং শাশুরীর সাথে মনোমালিন্য চলে আসছিল। ঘটনার দিন ৭জুন সাদ্দাম ফোনে আমাদের জানায় আমি শশুর বাড়িতে এসেছি তারা আমাকে অনেক মারধর করেছে আমাকে বাঁচান। পরে আমরা গিয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা সাদ্দামের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁরপর তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আমরা প্রথমে তাঁকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর চারটার দিকে সাদ্দাম মারা যায়। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য সাদ্দামের শশুর বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রাজিব কুমার রায় বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা প্রস্তুতি চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

Update Time : ০৯:০০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি: 

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামে শ্বশুড় বাড়িতে জামাইকে মারধর ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী মাঝাপাড়া গ্রামে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরন করেছে।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক বিপুল ইসলাম সাদ্দাম (২৫) এর সাথে দুই বছর আগে একই ইউনিয়নের কাছারীপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে লুবাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে লুবাইয়া স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। গত ৬ জুন সোমবার লুবাইয়া তাঁর স্বামীকে না জানিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। খবর পেয়ে স্বামী সাদ্দাম ৭ জুন উত্তরা ইপিজেডে ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীকে আনতে শশুর বাড়িতে যান। শশুর বাড়িতে গিয়ে পারিবারিক কোলহের জেরে শ্বশুড় শ্বাশুড়িসহ অন্যারা মিলে জামাইকে মারধর করলে জামাই সাদ্দাম অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সাদ্দামের ভগ্নিপতি মাজেদুল ইসলাম ও চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, সাদ্দামের বিয়ের পর তাঁর শ্বশুড় তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুড় জামাই এবং শাশুরীর সাথে মনোমালিন্য চলে আসছিল। ঘটনার দিন ৭জুন সাদ্দাম ফোনে আমাদের জানায় আমি শশুর বাড়িতে এসেছি তারা আমাকে অনেক মারধর করেছে আমাকে বাঁচান। পরে আমরা গিয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা সাদ্দামের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁরপর তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আমরা প্রথমে তাঁকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর চারটার দিকে সাদ্দাম মারা যায়। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য সাদ্দামের শশুর বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রাজিব কুমার রায় বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা প্রস্তুতি চলছে।