সেন্টমার্টিন রোড়ে পযর্টকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ

  • Update Time : ০৮:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / 137

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

আগামী ২ এপ্রিল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রোডে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কুয়াব)।

সোমবার (২৮মার্চ) বিকেলে এই বিজ্ঞপ্তিতে সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কুয়াব)সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি আছে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ২ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু পর্যটক সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন করবেন বলে তাঁদের আনার জন্য ওই দিন পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২ এপ্রিল সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার সময় প্রতিটি জাহাজে দ্বীপের আবর্জনা বোঝাই করে টেকনাফে আনা হবে। এরপর এসব আবর্জনা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। আর প্লাস্টিক বর্জ্য লোকজনের কাছে বিক্রি করা হবে।এরপর আগামী অক্টোবর পর্যন্ত টানা সাত মাস এ দ্বীপে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ থাকবে।পর্যটক পারাপারে এ নৌপথে চলাচল করে ১০টি জাহাজ। বর্ষা মৌসুম ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকে বলে উপজেলা প্রশাসন এসব জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দোকান রেস্তোরাঁ সমিতির সভাপতি আবু বক্কর বলেন, দ্বীপে পর্যটকের আগমন বন্ধ হয়ে যাবে জেনে ইতিমধ্যে ২০-৩০টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও শতাধিক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বীপের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগে দ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কয়েক বছর ধরে অধিকাংশ মানুষ পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী ঢাকা পোস্ট কে জানান, ৩০ মার্চ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশ ছিল। কিন্তু জাহাজে করে দ্বীপের আবর্জনা বোঝাই করে টেকনাফে আনা হবে। এর জন্য ২দিন সময় বাড়া হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সেন্টমার্টিন রোড়ে পযর্টকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ

Update Time : ০৮:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

আগামী ২ এপ্রিল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রোডে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কুয়াব)।

সোমবার (২৮মার্চ) বিকেলে এই বিজ্ঞপ্তিতে সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কুয়াব)সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি আছে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ২ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু পর্যটক সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন করবেন বলে তাঁদের আনার জন্য ওই দিন পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২ এপ্রিল সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার সময় প্রতিটি জাহাজে দ্বীপের আবর্জনা বোঝাই করে টেকনাফে আনা হবে। এরপর এসব আবর্জনা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। আর প্লাস্টিক বর্জ্য লোকজনের কাছে বিক্রি করা হবে।এরপর আগামী অক্টোবর পর্যন্ত টানা সাত মাস এ দ্বীপে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ থাকবে।পর্যটক পারাপারে এ নৌপথে চলাচল করে ১০টি জাহাজ। বর্ষা মৌসুম ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকে বলে উপজেলা প্রশাসন এসব জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দোকান রেস্তোরাঁ সমিতির সভাপতি আবু বক্কর বলেন, দ্বীপে পর্যটকের আগমন বন্ধ হয়ে যাবে জেনে ইতিমধ্যে ২০-৩০টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও শতাধিক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বীপের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগে দ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কয়েক বছর ধরে অধিকাংশ মানুষ পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী ঢাকা পোস্ট কে জানান, ৩০ মার্চ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশ ছিল। কিন্তু জাহাজে করে দ্বীপের আবর্জনা বোঝাই করে টেকনাফে আনা হবে। এর জন্য ২দিন সময় বাড়া হয়েছে।