ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

  • Update Time : ০৩:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / 165

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের প্রস্তাবের ধারায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। খুব দ্রুতই বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে সার্কুলার জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো চলতিসহ সব ধরনের আমানত নিতে পারে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছয় মাসের কম মেয়াদি কোনো আমানত নিতে পারে না। আবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেকে আমানত রাখতে চান না। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়ার তথ্যও ফাঁস হয়েছে।

আমানত টানতে অনেক প্রতিষ্ঠান ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সুদ অফার করছে। আর ঋণ দিচ্ছে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে। এতো সুদে আমানত গ্রহণ ও ঋণ বিতরণ ব্যাংকের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এরকম অবস্থায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ ও আমানতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের প্রস্তাবনায় আমানতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ শতাংশ সুদহারের সীমা আরোপের কথা বলা হয়েছে। আর ঋণে কোনো অবস্থায় যেন ১২ থেকে ১৩ শতাংশের বেশি সুদ নিতে না পারে তাও উল্লেখ রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

Update Time : ০৩:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের প্রস্তাবের ধারায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। খুব দ্রুতই বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে সার্কুলার জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো চলতিসহ সব ধরনের আমানত নিতে পারে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছয় মাসের কম মেয়াদি কোনো আমানত নিতে পারে না। আবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেকে আমানত রাখতে চান না। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়ার তথ্যও ফাঁস হয়েছে।

আমানত টানতে অনেক প্রতিষ্ঠান ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সুদ অফার করছে। আর ঋণ দিচ্ছে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে। এতো সুদে আমানত গ্রহণ ও ঋণ বিতরণ ব্যাংকের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এরকম অবস্থায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ ও আমানতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের প্রস্তাবনায় আমানতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ শতাংশ সুদহারের সীমা আরোপের কথা বলা হয়েছে। আর ঋণে কোনো অবস্থায় যেন ১২ থেকে ১৩ শতাংশের বেশি সুদ নিতে না পারে তাও উল্লেখ রয়েছে।