কিয়েভ শহরে জোড়া বিস্ফোরণ

  • Update Time : ১০:০০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
  • / 136

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

জোড়া বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। কিয়েভের জনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি বাড়িতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার ফলে কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন এবং তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ‌মোট ৬৩ জনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে। খবর আনন্দবাজারের

এ ছা়ড়াও কিয়েভে রুশ বিমান হামলার ফলে বেশ কয়েকটি আবাসিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্রেমলিনের আগ্রাসনের মুখে পড়ে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির দফতরের পরামর্শদাতা ওলেক্সি অ্যারেস্টোভিচ জানান, এখনও পর্যন্ত রুশ আক্রমণের মুখে পড়ে মারিউপোলে আড়াই হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। সেখান থেকে রুশ সেনারা কিছু মানুষকে যুদ্ধবন্দি করে রেখেছে বলেও তিনি জানান।

পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ-ক্রেমলিনের মধ্যে চতুর্থ দফার বেঠক শুরু হতে চলেছে বলেও ইউক্রেন সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে তিনি এও জানান যে, বৈঠক হতে চলেছে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। এর আগেও তিন দফার বৈঠক হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।

এ ছাড়াও ইউক্রেনের অভিযোগ, মস্কো বাহিনী ইউক্রেন থেকে একাধিক পশ্চিমী সম্পত্তি ধ্বংস করার এবং বড় বড় সংস্থার মালিকদের বন্দি করার হুমকি দিয়েছিল। তবে রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত কিয়েভ-ক্রেমলিনের সংঘাত সোমবার ১৯ দিনে পা দিল। ইতিমধ্যেই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ২৫ লক্ষ ইউক্রেনের বাসিন্দা দেশ ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছে। তবে প্রথম থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জেলেনস্কি নিজেও সেনার সাজে বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাচ্ছেন।

ইউক্রেনে গোপন অভিযান চালাতে গিয়ে রাশিয়ার সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ‘গ্রু’-র ক্যাপ্টেন অ্যালেস্কি গুলস্‌চাক মারিউপোলে মারা গিয়েছেন। তবে তিনি কী গোপন অভিযান চালাচ্ছিলেন তা এখনও খোলসা হয়নি। রাশিয়ার মোট ১২ জন উচ্চপদস্থ সেনাকর্তা এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে মারা গিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কিয়েভ শহরে জোড়া বিস্ফোরণ

Update Time : ১০:০০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

জোড়া বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। কিয়েভের জনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি বাড়িতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার ফলে কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন এবং তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ‌মোট ৬৩ জনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে। খবর আনন্দবাজারের

এ ছা়ড়াও কিয়েভে রুশ বিমান হামলার ফলে বেশ কয়েকটি আবাসিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্রেমলিনের আগ্রাসনের মুখে পড়ে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির দফতরের পরামর্শদাতা ওলেক্সি অ্যারেস্টোভিচ জানান, এখনও পর্যন্ত রুশ আক্রমণের মুখে পড়ে মারিউপোলে আড়াই হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। সেখান থেকে রুশ সেনারা কিছু মানুষকে যুদ্ধবন্দি করে রেখেছে বলেও তিনি জানান।

পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ-ক্রেমলিনের মধ্যে চতুর্থ দফার বেঠক শুরু হতে চলেছে বলেও ইউক্রেন সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে তিনি এও জানান যে, বৈঠক হতে চলেছে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। এর আগেও তিন দফার বৈঠক হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।

এ ছাড়াও ইউক্রেনের অভিযোগ, মস্কো বাহিনী ইউক্রেন থেকে একাধিক পশ্চিমী সম্পত্তি ধ্বংস করার এবং বড় বড় সংস্থার মালিকদের বন্দি করার হুমকি দিয়েছিল। তবে রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত কিয়েভ-ক্রেমলিনের সংঘাত সোমবার ১৯ দিনে পা দিল। ইতিমধ্যেই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ২৫ লক্ষ ইউক্রেনের বাসিন্দা দেশ ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছে। তবে প্রথম থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জেলেনস্কি নিজেও সেনার সাজে বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাচ্ছেন।

ইউক্রেনে গোপন অভিযান চালাতে গিয়ে রাশিয়ার সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ‘গ্রু’-র ক্যাপ্টেন অ্যালেস্কি গুলস্‌চাক মারিউপোলে মারা গিয়েছেন। তবে তিনি কী গোপন অভিযান চালাচ্ছিলেন তা এখনও খোলসা হয়নি। রাশিয়ার মোট ১২ জন উচ্চপদস্থ সেনাকর্তা এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে মারা গিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।