চীনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার, উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ

  • Update Time : ০৬:২৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • / 153

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চীনে গত দুই বছরের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশটিতে রোববার প্রায় ৩ হাজার ৪’শ লোক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা একদিন আগের তুলনায় দ্বিগুণ। আর এ কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষ করোনার হটস্পট এলাকাগুলোতে লকডাউন জারি করতে বাধ্য হচ্ছে।

চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৪০ কোটি জনসংখা অধ্যুষিত দেশটির ১৯টি প্রদেশে করোনা ও ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে লকডাউন জারি এবং সাংহাইয়ে স্কুলসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

চীনের উহানে ২০১৯ সালের শেষদিকে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সে সময়ে কঠোর লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং গণপরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অতিসংক্রামক ওমিক্রনের কারণে বর্তমানে এসব পদক্ষেপ খুব একটা কাজে আসছে না।

ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে চীনে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু গত ডিসেম্বরের তুলনায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধী পদক্ষেপগুলো অতোটা জোরালো নয়। চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ে কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সেখানকার স্কুল, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলসমূহের ওপর সাময়িক লকডাউন জারি করেছে।

নগরীর হাসপাতালগুলোতেও দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। তারা কোভিডের নেগেটিভ রিপোর্ট নেয়ার জন্য ভিড় করেছেন বলেই জানা গেছে। সূত্র- এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চীনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার, উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ

Update Time : ০৬:২৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চীনে গত দুই বছরের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশটিতে রোববার প্রায় ৩ হাজার ৪’শ লোক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা একদিন আগের তুলনায় দ্বিগুণ। আর এ কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষ করোনার হটস্পট এলাকাগুলোতে লকডাউন জারি করতে বাধ্য হচ্ছে।

চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৪০ কোটি জনসংখা অধ্যুষিত দেশটির ১৯টি প্রদেশে করোনা ও ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে লকডাউন জারি এবং সাংহাইয়ে স্কুলসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

চীনের উহানে ২০১৯ সালের শেষদিকে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সে সময়ে কঠোর লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং গণপরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অতিসংক্রামক ওমিক্রনের কারণে বর্তমানে এসব পদক্ষেপ খুব একটা কাজে আসছে না।

ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে চীনে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু গত ডিসেম্বরের তুলনায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধী পদক্ষেপগুলো অতোটা জোরালো নয়। চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ে কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সেখানকার স্কুল, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলসমূহের ওপর সাময়িক লকডাউন জারি করেছে।

নগরীর হাসপাতালগুলোতেও দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। তারা কোভিডের নেগেটিভ রিপোর্ট নেয়ার জন্য ভিড় করেছেন বলেই জানা গেছে। সূত্র- এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান।