বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া

  • Update Time : ০৯:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 187

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অবশেষে সংলাপে বসতে চলেছে ইউক্রেন-রাশিয়া। সামরিক অভিযানের চার দিন পর দুটি দেশ আলোচনায় বসতে আগ্রহী হয়েছে। সোমবার এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য দিয়েছে।

ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভগেনি ইয়েনিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, “স্থানীয় সময় সোমবার সকালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হওয়ার পর এই বৈঠকের খবর জানাল ইউক্রেন। এর আগে জেলেনস্কি প্রতিবেশি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলাপের পর তার দেশের প্রতিনিধি দলকে রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের অনুমতি দেন।

জেলেনস্কি ও লুকাশেঙ্কোর যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রিপিয়াত নদীর নিকটবর্তী ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি ইউক্রেন প্রতিনিধি দল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলকে বেলারুশ গমন, আলোচনা ও প্রত্যাবর্তনের সময় তার দেশের ভূখণ্ডে অবস্থানরত সব যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের চার দিনে এসে তার বাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে ‘বিশেষ সতর্ক’ অবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন এই বিষয়ে নির্দেশ দেন। ভাষণে রুশ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ জেনারেলদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, “রাশিয়ার প্রতি পশ্চিমা দেশগুলো একের পর এক বৈরী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বেআইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রাখার যে নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দিয়েছেন তা রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের সর্বোচ্চ স্তরের সতর্ক অবস্থা।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের তিন দিক থেকে শুরু হওয়া রুশ সেনাদের হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। তবে সামরিক অভিযানের প্রথম দিন রাতেই ইউক্রেনে ঢুরেক পড়ে রুশ সৈন্যরা। আর দুই দিনের মাথায় দেশটির রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া

Update Time : ০৯:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অবশেষে সংলাপে বসতে চলেছে ইউক্রেন-রাশিয়া। সামরিক অভিযানের চার দিন পর দুটি দেশ আলোচনায় বসতে আগ্রহী হয়েছে। সোমবার এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য দিয়েছে।

ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভগেনি ইয়েনিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, “স্থানীয় সময় সোমবার সকালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হওয়ার পর এই বৈঠকের খবর জানাল ইউক্রেন। এর আগে জেলেনস্কি প্রতিবেশি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলাপের পর তার দেশের প্রতিনিধি দলকে রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের অনুমতি দেন।

জেলেনস্কি ও লুকাশেঙ্কোর যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রিপিয়াত নদীর নিকটবর্তী ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি ইউক্রেন প্রতিনিধি দল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলকে বেলারুশ গমন, আলোচনা ও প্রত্যাবর্তনের সময় তার দেশের ভূখণ্ডে অবস্থানরত সব যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের চার দিনে এসে তার বাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে ‘বিশেষ সতর্ক’ অবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন এই বিষয়ে নির্দেশ দেন। ভাষণে রুশ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ জেনারেলদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, “রাশিয়ার প্রতি পশ্চিমা দেশগুলো একের পর এক বৈরী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বেআইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রাখার যে নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দিয়েছেন তা রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের সর্বোচ্চ স্তরের সতর্ক অবস্থা।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের তিন দিক থেকে শুরু হওয়া রুশ সেনাদের হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। তবে সামরিক অভিযানের প্রথম দিন রাতেই ইউক্রেনে ঢুরেক পড়ে রুশ সৈন্যরা। আর দুই দিনের মাথায় দেশটির রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় তারা।