আফগানিস্তানের আটক অর্থ নিয়ে দস্যুর মতো আচরণ করছে আমেরিকা: চীন

  • Update Time : ০৩:৪১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 154

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

আফগানিস্তানের আটক অর্থ দখল করে নেয়ার জন্য মার্কিন সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, একটি মানবিক বিপর্যয়ের মুখে থাকা দেশের সম্পদ জব্দ করে তার সঙ্গে দস্যুর মতো আচরণ করছে ওয়াশিংটন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, ওয়াং ওয়েনবিন গতকাল (বুধবার) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আফগান জনগণের মতামত ছাড়াই আমেরিকা তাদের জব্দ অর্থ ব্যবহার করছে, এমনকি নিজের পকেটের অর্থের মতো জমা রাখছে। আমেরিকার এই আচরণের সঙ্গে দস্যুতার আচরণের কোনো পার্থক্য নেই।”

ওয়াং ওয়েনবিন আরো বলেন, আফগানিস্তানের চলমান সংকটের মূলহোতা হচ্ছে আমেরিকা এবং আফগান জনগণের ভোগান্তি আরো বাড়ানো কোনভাবেই ওয়াশিংটনের উচিত হচ্ছে না। তাদের উচিত আফগান জনগণের আটক অর্থ ছেড়ে দেয়া এবং দেশটির ওপর যে একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা প্রত্যাহার করা। পাশাপাশি আফগানিস্তানে যে মানবিক সংকট সৃষ্টির অবস্থা তৈরি হয়েছে তা নিরসনে আমেরিকাকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাহী আদেশে আফগানিস্তানের আটক ৭০০ কোটি ডলারের অর্ধেক অর্থ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের কথিত সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এই নির্বাহী আদেশ জারির পর আফগানিস্তানের রাজধানীসহ অন্য শহরের রাস্তায় নেমে আসে এবং মার্কিন-বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে। ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠী বলেছে, আমেরিকার যদি এই অর্থ ফেরত না দেয় তাহলে তারা দেশটির ব্যাপারে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আফগানিস্তানের আটক অর্থ নিয়ে দস্যুর মতো আচরণ করছে আমেরিকা: চীন

Update Time : ০৩:৪১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

আফগানিস্তানের আটক অর্থ দখল করে নেয়ার জন্য মার্কিন সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, একটি মানবিক বিপর্যয়ের মুখে থাকা দেশের সম্পদ জব্দ করে তার সঙ্গে দস্যুর মতো আচরণ করছে ওয়াশিংটন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, ওয়াং ওয়েনবিন গতকাল (বুধবার) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আফগান জনগণের মতামত ছাড়াই আমেরিকা তাদের জব্দ অর্থ ব্যবহার করছে, এমনকি নিজের পকেটের অর্থের মতো জমা রাখছে। আমেরিকার এই আচরণের সঙ্গে দস্যুতার আচরণের কোনো পার্থক্য নেই।”

ওয়াং ওয়েনবিন আরো বলেন, আফগানিস্তানের চলমান সংকটের মূলহোতা হচ্ছে আমেরিকা এবং আফগান জনগণের ভোগান্তি আরো বাড়ানো কোনভাবেই ওয়াশিংটনের উচিত হচ্ছে না। তাদের উচিত আফগান জনগণের আটক অর্থ ছেড়ে দেয়া এবং দেশটির ওপর যে একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা প্রত্যাহার করা। পাশাপাশি আফগানিস্তানে যে মানবিক সংকট সৃষ্টির অবস্থা তৈরি হয়েছে তা নিরসনে আমেরিকাকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাহী আদেশে আফগানিস্তানের আটক ৭০০ কোটি ডলারের অর্ধেক অর্থ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের কথিত সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এই নির্বাহী আদেশ জারির পর আফগানিস্তানের রাজধানীসহ অন্য শহরের রাস্তায় নেমে আসে এবং মার্কিন-বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে। ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠী বলেছে, আমেরিকার যদি এই অর্থ ফেরত না দেয় তাহলে তারা দেশটির ব্যাপারে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হবে।