পোশাক রফতানিতে ফের দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ

  • Update Time : ০৩:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 136

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করোনা মহামারির কারণে ভিয়েতনামের কাছ থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারকের হারানো স্থান পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’র তথ্য মতে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৫.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে ভিয়েতনামের আয় ৩২.৭৫ বিলিয়ন।

এর আগে, ২০২০ সালে করোনামহামারির কারণে বেশ কিছুদিন বাংলাদেশের পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় স্থান হারাতে হয়। তখন ভিয়েতনাম ২৯.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানির বিপরীতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ২৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর ভিয়েতনামের রফতানি ৯.৮৯ শতাংশ বেড়েছে কিন্তু বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় ৩০.৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।

বিজিএমইএ সংশ্লিষ্টরা বলেন, “২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুতকারকদের কারখানা বন্ধ করতে হয়েছিলো। কিন্তু সেই সময় সংক্রমণের হার কম থাকায় ভিয়েতনাম কারখানা বন্ধ করেনি, এতে তাদের রফতানি বেড়ে যায়। সেই সংগে বাংলাদেশে দ্বিতীয় অবস্থান হারায়। সাময়িক বন্ধের ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভিয়েতনাম পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নেয়।’‘

ভিয়েতনামে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত বছর, বাংলাদেশ ভালো করেছে কারণ পোশাক প্রস্তুতকারকরা বিপুল পরিমাণ অর্ডার পাওয়ায় পুরোদমে কারখানা চালু রাখায় এই রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ে “নিটওয়্যার পণ্যগুলি বেশি রফতানি হয়েছে। যার অন্যতম কারণ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কাঁচামাল সরবরাহ করা গেছে তাই। বাংলাদেশ নিটওয়্যার সেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ৯০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করতে পারে।

নিটওয়্যার রফতানি ২০২১ সালে ৩৭.৭২ শতাংশ বেড়ে ১৯.৫৯ বিলিয়ন হয়েছে যা আগের বছর ছিলো ১৪.২২ বিলিয়ন বেশি। ওভেনপণ্যগুলি ১৬.২১ বিলিয়ন লাভ করেছে, যা ২২.৪৬ শতাংশ বেড়েছে, যা এক বছর আগের একই সময়ে ১৩.২৪ বিলিয়ন ডলার ছিলো।

গত বছর মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ৩৬.৭৯ শতাংশ বেড়ে ৭.১৪ বিলিয়ন ডলারে এবং ভিয়েতনামের ১৪.৩৩ শতাংশ বেড়ে ১৪.৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, চলমান মহামারির মধ্যে ২০২২ সালে ভবিষ্যত রফতানি পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন। তবে তিনি আশাবাদী যে স্থানীয় পোশাক শিল্প আগামী পাঁচ বছরে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য বিশাল প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বর্তমান কাজের আদেশ আসছে। এভাবে ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে পারলে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হবে না। পাশাপাশি আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে, “আমাদেরকে চীনা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে হবে। সাধারণত, সংস্কৃতিতে মিল থাকায় তারা ভিয়েতনাম এবং মায়ানমারকে পছন্দ করে। তিনি ব্যাখ্যা করেন।

২০২১ সালে রফতানি আদেশে ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পোশাক রফতানিতে ফের দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ

Update Time : ০৩:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করোনা মহামারির কারণে ভিয়েতনামের কাছ থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারকের হারানো স্থান পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’র তথ্য মতে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৫.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে ভিয়েতনামের আয় ৩২.৭৫ বিলিয়ন।

এর আগে, ২০২০ সালে করোনামহামারির কারণে বেশ কিছুদিন বাংলাদেশের পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় স্থান হারাতে হয়। তখন ভিয়েতনাম ২৯.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানির বিপরীতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ২৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর ভিয়েতনামের রফতানি ৯.৮৯ শতাংশ বেড়েছে কিন্তু বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় ৩০.৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।

বিজিএমইএ সংশ্লিষ্টরা বলেন, “২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুতকারকদের কারখানা বন্ধ করতে হয়েছিলো। কিন্তু সেই সময় সংক্রমণের হার কম থাকায় ভিয়েতনাম কারখানা বন্ধ করেনি, এতে তাদের রফতানি বেড়ে যায়। সেই সংগে বাংলাদেশে দ্বিতীয় অবস্থান হারায়। সাময়িক বন্ধের ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভিয়েতনাম পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নেয়।’‘

ভিয়েতনামে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত বছর, বাংলাদেশ ভালো করেছে কারণ পোশাক প্রস্তুতকারকরা বিপুল পরিমাণ অর্ডার পাওয়ায় পুরোদমে কারখানা চালু রাখায় এই রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ে “নিটওয়্যার পণ্যগুলি বেশি রফতানি হয়েছে। যার অন্যতম কারণ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কাঁচামাল সরবরাহ করা গেছে তাই। বাংলাদেশ নিটওয়্যার সেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ৯০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করতে পারে।

নিটওয়্যার রফতানি ২০২১ সালে ৩৭.৭২ শতাংশ বেড়ে ১৯.৫৯ বিলিয়ন হয়েছে যা আগের বছর ছিলো ১৪.২২ বিলিয়ন বেশি। ওভেনপণ্যগুলি ১৬.২১ বিলিয়ন লাভ করেছে, যা ২২.৪৬ শতাংশ বেড়েছে, যা এক বছর আগের একই সময়ে ১৩.২৪ বিলিয়ন ডলার ছিলো।

গত বছর মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ৩৬.৭৯ শতাংশ বেড়ে ৭.১৪ বিলিয়ন ডলারে এবং ভিয়েতনামের ১৪.৩৩ শতাংশ বেড়ে ১৪.৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, চলমান মহামারির মধ্যে ২০২২ সালে ভবিষ্যত রফতানি পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন। তবে তিনি আশাবাদী যে স্থানীয় পোশাক শিল্প আগামী পাঁচ বছরে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য বিশাল প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বর্তমান কাজের আদেশ আসছে। এভাবে ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে পারলে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হবে না। পাশাপাশি আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে, “আমাদেরকে চীনা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে হবে। সাধারণত, সংস্কৃতিতে মিল থাকায় তারা ভিয়েতনাম এবং মায়ানমারকে পছন্দ করে। তিনি ব্যাখ্যা করেন।

২০২১ সালে রফতানি আদেশে ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীরা।