এ বছর ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে চায় মিয়ানমার

  • Update Time : ০৩:০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 153

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অভ্যন্তরীণ অর্থ পরিশোধ সহজ করতে এবং এ বছরের মধ্যে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চায় মিয়ানমারের সামরিক সরকার। এ লক্ষ্যে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দেশটির স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চায় সরকার। খবর ব্যাংকক পোস্ট।

এক বছর আগে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের ডেপুটি তথ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল জ মিন তুন জানান, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নাকি এককভাবে সরকারি প্রচেষ্টায় ডিজিটাল মুদ্রা চালু করবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তারা।

এদিকে বিদায়ী বছর সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া অর্থবছরে মিয়ানমারের অর্থনীতি ১৮ শতাংশ সংকোচনের প্রাক্কলন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চলতি অর্থবছরে মাত্র ১ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারী ও সামরিক অভ্যুত্থান না হলে মিয়ানমারের অর্থনীতি ৩০ শতাংশ বড় হতে পারত।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির সমর্থকরা সামরিক শাসনবিরোধী এক প্রচারণায় তহবিল সংগ্রহ করতে ক্রিপ্টোকারেন্সি টেথারকে ‘প্রশাসনিক মুদ্রা’ হিসেবে ব্যবহার করে। এর পরই ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের ঘোষণা আসে দেশের সামরিক সরকারের তরফ থেকে।

কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল মুদ্রা ইউয়ান প্রকল্পে কাজ করছে চীন। এবার মিয়ানমারেও ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণা দিল দেশটির সামরিক সরকার। তবে এর জন্য মিয়ানমার এখনো প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কিম এডওয়ার্ডস।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এ বছর ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে চায় মিয়ানমার

Update Time : ০৩:০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অভ্যন্তরীণ অর্থ পরিশোধ সহজ করতে এবং এ বছরের মধ্যে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চায় মিয়ানমারের সামরিক সরকার। এ লক্ষ্যে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দেশটির স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চায় সরকার। খবর ব্যাংকক পোস্ট।

এক বছর আগে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের ডেপুটি তথ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল জ মিন তুন জানান, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নাকি এককভাবে সরকারি প্রচেষ্টায় ডিজিটাল মুদ্রা চালু করবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তারা।

এদিকে বিদায়ী বছর সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া অর্থবছরে মিয়ানমারের অর্থনীতি ১৮ শতাংশ সংকোচনের প্রাক্কলন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চলতি অর্থবছরে মাত্র ১ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারী ও সামরিক অভ্যুত্থান না হলে মিয়ানমারের অর্থনীতি ৩০ শতাংশ বড় হতে পারত।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির সমর্থকরা সামরিক শাসনবিরোধী এক প্রচারণায় তহবিল সংগ্রহ করতে ক্রিপ্টোকারেন্সি টেথারকে ‘প্রশাসনিক মুদ্রা’ হিসেবে ব্যবহার করে। এর পরই ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের ঘোষণা আসে দেশের সামরিক সরকারের তরফ থেকে।

কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল মুদ্রা ইউয়ান প্রকল্পে কাজ করছে চীন। এবার মিয়ানমারেও ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণা দিল দেশটির সামরিক সরকার। তবে এর জন্য মিয়ানমার এখনো প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কিম এডওয়ার্ডস।