বছরের প্রথমদিনই চীনকে সতর্কবার্তা দিলো তাইওয়ান

  • Update Time : ০৩:৫১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • / 173

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

২০২২ সালের প্রথম দিন চীনকে সতর্কবার্তা দিয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন এক ভাষণে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দেশে বলেছেন- চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার যে সমস্যা- তার সমাধান সামরিক সংঘাতের মধ্যে নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাই ইং ওয়েনের ভাষণ লাইভ সম্প্রচার হয়েছে। ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- তারা যেন পরিস্থিতির ভুল বিশ্লেষণ থেকে বিরত থাকে এবং সামরিক সংঘাতের পরিকল্পনা ত্যাগ করে।’

‘আমাদের মধ্যকার যেসব মতপার্থক্য, সামরিক পন্থায় তার সমাধান সম্ভব নয়; বরং এই পন্থা অবলম্বন করলে দুই অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের স্মরণে রাখা উচিত, এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপন ও তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের উভয়েরই।’

তাইওয়ানের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে সাই ইং ওয়েন বলেন, ‘আমাদের প্রথম ও প্রাথমিক লক্ষ্য নিজেদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা এবং স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা। পাশাপাশি, আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলেও শান্তি স্থাপন করতে চায় তাইওয়ান।’

এক সময়ের স্বাধীন রাষ্ট্র তাইওয়ান আসলে পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। গত দশকের ষাটের দশকে এক যুদ্ধে চীনের কাছে পরাজিত হয়ে স্বাধীনতা হারায় তাইওয়ান।

তবে এই দ্বীপ ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী জনগণ বরাবরই চীনের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। দ্বীপটির স্বাধীনতার সংগ্রাম নতুন গতি পেয়েছে ২০১৬ সালে, সাই ইং ওয়েন সেখানকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে।

চীন অবশ্য বরাবরই তাইওয়ানের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করে আসছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলার দীর্ঘ ইতিহাস চীনের আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বছরের প্রথমদিনই চীনকে সতর্কবার্তা দিলো তাইওয়ান

Update Time : ০৩:৫১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

২০২২ সালের প্রথম দিন চীনকে সতর্কবার্তা দিয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন এক ভাষণে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দেশে বলেছেন- চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার যে সমস্যা- তার সমাধান সামরিক সংঘাতের মধ্যে নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাই ইং ওয়েনের ভাষণ লাইভ সম্প্রচার হয়েছে। ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- তারা যেন পরিস্থিতির ভুল বিশ্লেষণ থেকে বিরত থাকে এবং সামরিক সংঘাতের পরিকল্পনা ত্যাগ করে।’

‘আমাদের মধ্যকার যেসব মতপার্থক্য, সামরিক পন্থায় তার সমাধান সম্ভব নয়; বরং এই পন্থা অবলম্বন করলে দুই অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের স্মরণে রাখা উচিত, এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপন ও তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের উভয়েরই।’

তাইওয়ানের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে সাই ইং ওয়েন বলেন, ‘আমাদের প্রথম ও প্রাথমিক লক্ষ্য নিজেদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা এবং স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা। পাশাপাশি, আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলেও শান্তি স্থাপন করতে চায় তাইওয়ান।’

এক সময়ের স্বাধীন রাষ্ট্র তাইওয়ান আসলে পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। গত দশকের ষাটের দশকে এক যুদ্ধে চীনের কাছে পরাজিত হয়ে স্বাধীনতা হারায় তাইওয়ান।

তবে এই দ্বীপ ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী জনগণ বরাবরই চীনের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। দ্বীপটির স্বাধীনতার সংগ্রাম নতুন গতি পেয়েছে ২০১৬ সালে, সাই ইং ওয়েন সেখানকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে।

চীন অবশ্য বরাবরই তাইওয়ানের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করে আসছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলার দীর্ঘ ইতিহাস চীনের আছে।