৭ দেশে ওমিক্রন শনাক্ত, ছড়াচ্ছে ‘অভাবনীয়’ গতিতে: ডব্লিউএইচও

  • Update Time : ১০:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 220

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অভাবনীয় গতিতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, ৭৭টি দেশে ইতোমধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হলেও হয়তো অনেক দেশে ভাইরাসটি পৌঁছে গেছে, কিন্তু এখনও শনাক্ত করা যায়নি।

করোনার নতুন এই ধরনটি মোকাবিলায় যথেষ্ট কিছু করা হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন টেড্রোস আধানম। তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত, আমরা আমাদের দিক থেকে এই ধরনকে কম গুরুত্ব দিচ্ছি। মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি যদি নাও করে, ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণের ফলে অপ্রস্তুত চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’

করোনা মহামারী শুরুর প্রায় দুই বছর পর গত নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের ওপর অনেক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি। ইতোমধ্যে ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার এই ধরনটি নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২ ডিসেম্বর ওমিক্রন সংক্রমিত প্রথম রোগী ধরা পড়ে। বাংলাদেশের করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন।

টেড্রোস আধানম বলেন, ‘কোভিড-১৯ ছড়ানো ঠেকাতে টিকার বুস্টার ডোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু, এখানে অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা একটি বড় ব্যাপার। মৃত্যু ও মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা যাদের কম-এমন লোকজনকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে অন্য জায়গায় যাঁরা এখনও প্রথম ডোজ টিকাই দিতে পারেননি, তাঁদের জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


৭ দেশে ওমিক্রন শনাক্ত, ছড়াচ্ছে ‘অভাবনীয়’ গতিতে: ডব্লিউএইচও

Update Time : ১০:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অভাবনীয় গতিতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, ৭৭টি দেশে ইতোমধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হলেও হয়তো অনেক দেশে ভাইরাসটি পৌঁছে গেছে, কিন্তু এখনও শনাক্ত করা যায়নি।

করোনার নতুন এই ধরনটি মোকাবিলায় যথেষ্ট কিছু করা হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন টেড্রোস আধানম। তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত, আমরা আমাদের দিক থেকে এই ধরনকে কম গুরুত্ব দিচ্ছি। মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি যদি নাও করে, ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণের ফলে অপ্রস্তুত চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’

করোনা মহামারী শুরুর প্রায় দুই বছর পর গত নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের ওপর অনেক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি। ইতোমধ্যে ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার এই ধরনটি নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২ ডিসেম্বর ওমিক্রন সংক্রমিত প্রথম রোগী ধরা পড়ে। বাংলাদেশের করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন।

টেড্রোস আধানম বলেন, ‘কোভিড-১৯ ছড়ানো ঠেকাতে টিকার বুস্টার ডোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু, এখানে অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা একটি বড় ব্যাপার। মৃত্যু ও মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা যাদের কম-এমন লোকজনকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে অন্য জায়গায় যাঁরা এখনও প্রথম ডোজ টিকাই দিতে পারেননি, তাঁদের জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়।’