টানা চার সপ্তাহ কমলো বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম

  • Update Time : ০৫:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 190

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। আগের তিন সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও স্বর্ণ ও রুপার দাম কমেছে। এক মাসে স্বর্ণের দাম কমেছে প্রায় ৭৯ ডলার বা ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেনি।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১২ ডলার। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১৭৮২ দশমিক ৫৮ ডলার। এক মাস আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৮৬১ দশমিক ৫০ ডলার। অর্থাৎ এক মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৭৮ দশমিক ৯২ ডলার।

অন্যদিকে গত এক সপ্তাহে রুপার দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১৪ ডলারে। এতে মাসের ব্যবধানে রুপার দাম কমেছে ১২ দশমিক ২১ ডলার। আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৪২ দশমিক ১৫ ডলার। এরপরও মাসের ব্যবধানে প্লাটিনামের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।

দরপতনের আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয় ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয় ৬২ হাজার ৪০২ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৫২ হাজার ৮০ টাকা।

স্বর্ণের এই দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাজুস জানায়, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


টানা চার সপ্তাহ কমলো বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম

Update Time : ০৫:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। আগের তিন সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও স্বর্ণ ও রুপার দাম কমেছে। এক মাসে স্বর্ণের দাম কমেছে প্রায় ৭৯ ডলার বা ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেনি।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১২ ডলার। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১৭৮২ দশমিক ৫৮ ডলার। এক মাস আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৮৬১ দশমিক ৫০ ডলার। অর্থাৎ এক মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৭৮ দশমিক ৯২ ডলার।

অন্যদিকে গত এক সপ্তাহে রুপার দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১৪ ডলারে। এতে মাসের ব্যবধানে রুপার দাম কমেছে ১২ দশমিক ২১ ডলার। আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৪২ দশমিক ১৫ ডলার। এরপরও মাসের ব্যবধানে প্লাটিনামের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।

দরপতনের আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয় ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয় ৬২ হাজার ৪০২ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৫২ হাজার ৮০ টাকা।

স্বর্ণের এই দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাজুস জানায়, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা চলছে।