দেশে ১১ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৬ হাজার

  • Update Time : ১১:২১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • / 240

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে করোনা মহামারির মধ্যে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী। তবে এ বছর যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এ বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ২০৬ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীদের মধ্যে এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) পর্যন্ত মাসওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারাদেশে ভর্তি মোট রোগীদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে ৩ জন, মে’তে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন, আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৮৪১ জন, অক্টোবরে ৫ বাজার ৪৫৮ জন এবং নভেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ভর্তি হন ২ হাজার ২৪২ জন।

ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন আরও ১২৩ জন রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ৯৪ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ২৯ জন ভর্তি হন।

এ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন, এমন রোগীর সংখ্যা ৫৯৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৭৮ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ১১৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে মোট ভর্তি ১২৩ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ৪৩ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৯ জন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৯৭ জনের মধ্যে জুলাই মাসে ১২ জন, আগস্টে ৩৪ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন, অক্টোবরে ২২ জন এবং ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মারা যান ৬ জন।

Please Share This Post in Your Social Media


দেশে ১১ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৬ হাজার

Update Time : ১১:২১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে করোনা মহামারির মধ্যে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী। তবে এ বছর যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এ বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ২০৬ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীদের মধ্যে এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) পর্যন্ত মাসওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারাদেশে ভর্তি মোট রোগীদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে ৩ জন, মে’তে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন, আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৮৪১ জন, অক্টোবরে ৫ বাজার ৪৫৮ জন এবং নভেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ভর্তি হন ২ হাজার ২৪২ জন।

ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন আরও ১২৩ জন রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ৯৪ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ২৯ জন ভর্তি হন।

এ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন, এমন রোগীর সংখ্যা ৫৯৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৭৮ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ১১৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে মোট ভর্তি ১২৩ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ৪৩ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৯ জন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৯৭ জনের মধ্যে জুলাই মাসে ১২ জন, আগস্টে ৩৪ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন, অক্টোবরে ২২ জন এবং ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মারা যান ৬ জন।