প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ আসেন পুনিতের সমাধিতে

  • Update Time : ০৩:২৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • / 163

বিনোদন ডেস্কঃ

গত ২৯ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ভারতের কন্নড় ও তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার পুনিত রাজকুমার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ বছর। প্রিয় তারকার মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে প্রাণ যায় আরও তিন জনের।

মৃত্যুর পর এই অভিনেতা যেন তিনি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার বেশ কিছু সামাজিক উদ্যোগ ও মহৎ কাজের খবর এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। যার মধ্যে আলোচিত এতিমদের জন্য স্কুল, ১,৮০০ জন অনাথ মেয়েকে দত্তক নেয়াসহ আরও কিছু কার্যক্রম।

পুনিত রাজকুমারের মৃত্যুর পর ১২ দিন কেটে গেছে। তার সঙ্গে আরও হাজার হাজার জীবন জড়িয়েছিল। মৃত্যুর পরেও সেই মানুষগুলো ছেড়ে যাননি দক্ষিণী সুপারস্টারকে। প্রতি দিন ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন পুনিতের জন্য।

ব্যবসায়ী শিবকুমার তার বড় ছেলের নাম রেখেছেন পুনিতের নামে। দুই ছেলেকে নিয়ে কান্তিরাভা স্টুডিওতে পুনিতের সমাধিতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছেন তিনি। ছোট ছেলেকে কাঁধে নিয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করলেন শিবকুমার।

তার কথায়, ‘কেবল অভিনয়ের জন্য নয়, সমাজের প্রতি তার কর্তব্যবোধের জন্যও আমরা মুগ্ধ। তার মতো সুপারস্টার আমরা পাবো না আর।’

পুনীতের আরও এক ভক্ত ধর্মেশ তার স্ত্রী এবং ছ’মাসের সন্তানকে নিয়ে কান্তিরাভা স্টুডিওতে পুনিতকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনুরাগীরা এবং পুনিতের ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা দলে দলে ভিড় করছেন সমাধিতে। ৮৭ বছরের নানজাম্মা কাঁদতে কাঁদতে পুনিতকে দেখতে এসেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পুনিত রাজকুমারের বাবার সমস্ত ছবি দেখেছি ছোটবেলায়। পুনিতের সব ছবি না দেখলেও তার সঙ্গে একাত্ম বোধ করি আমি।’

তিন শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পুনিতের সমাধিতে ভিড় সামলানোর জন্য। সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর আউটার রিং রোডের এই সমাধিস্থলে ভক্তদের সমাগমের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয় শুরু করেছিলেন পুনিত। পর্যন্ত ২৯ টির বেশি কন্নড় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮৫ সালে ‘বেত্তাধা হুভু’ সিনেমার জন্য শিশুশিল্পী হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন পুনিত । ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ সিনেমায় সঙ্গে লিড হিরো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে আকাশ, আরাসু, মিলনা, ভামসি, জ্যাকি, পরমাত্মা, পাওয়ার-এর মতো সুপারহিট কন্নড় সিনেমো উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ আসেন পুনিতের সমাধিতে

Update Time : ০৩:২৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্কঃ

গত ২৯ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ভারতের কন্নড় ও তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার পুনিত রাজকুমার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ বছর। প্রিয় তারকার মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে প্রাণ যায় আরও তিন জনের।

মৃত্যুর পর এই অভিনেতা যেন তিনি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার বেশ কিছু সামাজিক উদ্যোগ ও মহৎ কাজের খবর এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। যার মধ্যে আলোচিত এতিমদের জন্য স্কুল, ১,৮০০ জন অনাথ মেয়েকে দত্তক নেয়াসহ আরও কিছু কার্যক্রম।

পুনিত রাজকুমারের মৃত্যুর পর ১২ দিন কেটে গেছে। তার সঙ্গে আরও হাজার হাজার জীবন জড়িয়েছিল। মৃত্যুর পরেও সেই মানুষগুলো ছেড়ে যাননি দক্ষিণী সুপারস্টারকে। প্রতি দিন ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন পুনিতের জন্য।

ব্যবসায়ী শিবকুমার তার বড় ছেলের নাম রেখেছেন পুনিতের নামে। দুই ছেলেকে নিয়ে কান্তিরাভা স্টুডিওতে পুনিতের সমাধিতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছেন তিনি। ছোট ছেলেকে কাঁধে নিয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করলেন শিবকুমার।

তার কথায়, ‘কেবল অভিনয়ের জন্য নয়, সমাজের প্রতি তার কর্তব্যবোধের জন্যও আমরা মুগ্ধ। তার মতো সুপারস্টার আমরা পাবো না আর।’

পুনীতের আরও এক ভক্ত ধর্মেশ তার স্ত্রী এবং ছ’মাসের সন্তানকে নিয়ে কান্তিরাভা স্টুডিওতে পুনিতকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনুরাগীরা এবং পুনিতের ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা দলে দলে ভিড় করছেন সমাধিতে। ৮৭ বছরের নানজাম্মা কাঁদতে কাঁদতে পুনিতকে দেখতে এসেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পুনিত রাজকুমারের বাবার সমস্ত ছবি দেখেছি ছোটবেলায়। পুনিতের সব ছবি না দেখলেও তার সঙ্গে একাত্ম বোধ করি আমি।’

তিন শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পুনিতের সমাধিতে ভিড় সামলানোর জন্য। সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর আউটার রিং রোডের এই সমাধিস্থলে ভক্তদের সমাগমের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয় শুরু করেছিলেন পুনিত। পর্যন্ত ২৯ টির বেশি কন্নড় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮৫ সালে ‘বেত্তাধা হুভু’ সিনেমার জন্য শিশুশিল্পী হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন পুনিত । ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ সিনেমায় সঙ্গে লিড হিরো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে আকাশ, আরাসু, মিলনা, ভামসি, জ্যাকি, পরমাত্মা, পাওয়ার-এর মতো সুপারহিট কন্নড় সিনেমো উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।