কে হচ্ছেন খুলনার সংরক্ষিত ১১ আসনের মহিলা সংসদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫০ Time View

মোঃ সাব্বির ফাকির,খুলনাঃ

চলতি বছরের শুরুতেই গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোট। ইতিমধ্যে দ্বাদশ সংসদে নির্বাচিত সংসদরা শপথ গ্রহন করছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি বসছে দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টায় নতুন-পুরাতন এমপিদের পদচারণায় মুখর হবে জাতীয় সংসদ। সংসদের প্রথম অধিবেশনে ফাঁকা থাকছে সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসন। জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিয়মানুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিদের নির্বাচিত করতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোট করার লক্ষ্যে চলতি মাসের শেষ দিকে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। যেহেতু গত ১১ জানুয়ালী মন্ত্রী পরিষদ গঠনের ফলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন চলাকালীনের মধ্যে ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করবে। সে লক্ষে সংরক্ষিত মহিলা আসনে যোগ্য প্রার্থীদের খুঁজতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। খুলনা ও বাগেরহাট জেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত মহিলা আসন-১১ এর সংরক্ষিত আসনে মহিলা এমপি কারা হচ্ছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুটি জেলায় শুরু হয়েছে আলোচনা। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন-১১ (খুলনা- বাগেরহাট) মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য হাফ ডজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সাবেক সংসদ ও দলের একাধিক নেত্রী। খুলনা-বাগেরহাটের এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জন্য যাদের ত্যাগ রয়েছে। এছাড়া সাবেক ছাত্রনেত্রী, শিক্ষক, দলের জন্য নিবেদিত অন্যান্য কর্মী বিশেষ করে মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ নেত্রীরা প্রাধান্য পাবে।
খুলনা ও বাগেরহাট জেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ১১ নম্বর আসনে সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, দশম সংসদের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ হেপী বড়াল, একাদশ সংসদের সদস্য ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ,ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী নেত্রী ৭ জানুয়ারী দ¦াদশ সংসদে খুলনা-৩ আসন থেকে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী, দ¦াদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনায়ন সংগ্রহকারী ও জাতীয় মহিলা সংস্থা খুলনার চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, খুলনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন নাহার কনা ু, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বানু লুসি।
অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার বলেন, আমি খুলনা-৩ আসনে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে অনেকদিন গণসংযোগসহ নির্বাচনী কর্মকান্ডের পাশাপাশী পাটকল শ্রমিক অধ্যাশিত এলাকার মানুষদের বৃথার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসহায় দরিদ্র কর্মহীন এবং নিন্ম আয়ের মানুষকে সর্বাক্ষনিক সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে দাড়িছে । ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে দল অন্য একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলের জন্য নিবেদিত হয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছি। আমি সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী এবং দলের কাছে আগ্রহের কথা জানিয়েছি।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট গ্রোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, খুলনা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু দল আমাকে দেয়নি। আমি সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ছিলাম। এবারও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবো।
ফাতেমা জামান সাথী বলেন,আমি সব সময় দলের হয়ে কাজ করি। দ¦াদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনায়ন সংগ্রহ করি। দল আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদককে মনোনয়ন দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রর্তীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আর সেই লক্ষ বাস্তবায়নে আমি দলের নিতিনির্ধারনী ফোরামে খুলনা ও বাগেরহাট নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত আসন-১১ এর সংসদ সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি ।
সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হেপী বড়াল বলেন,আমি আগে মহিলা সংসদ সদস্য ছিলাম। সব সময় দলের হয়ে কাজ করে চলছি । আমি আমার আগ্রহের কথা উপর মহলে জানিয়েছি । আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চুরান্ত ।
আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন নাহার কনা বলেন, নেতাকর্মীরা চাইছে আমি প্রার্থী হই। আমি নিজেও আগ্রহী। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসন রয়েছে। এর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মোট আসন পেয়েছে ২২৩টি। প্রতি ৬ আসনে একজন করে সংরক্ষিত মহিলা এমপি নির্বাচিত করার বিধান আছে। সে হিসেবে আওয়ামী লীগ পাবে ৩৭টি আসন। জাতীয় পার্টি ১১ এমপির বিপরীতে পাবে ২টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোট করলে তারা পাবে ১০টি আসন । তবে একটি করে আসন জেতায় ওয়ার্কার্স পার্টি,জাসদ ও কল্যাণ পার্টি সংরক্ষিত কেনো আসন পাবে না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কে হচ্ছেন খুলনার সংরক্ষিত ১১ আসনের মহিলা সংসদ

Update Time : ০৪:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

মোঃ সাব্বির ফাকির,খুলনাঃ

চলতি বছরের শুরুতেই গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোট। ইতিমধ্যে দ্বাদশ সংসদে নির্বাচিত সংসদরা শপথ গ্রহন করছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি বসছে দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টায় নতুন-পুরাতন এমপিদের পদচারণায় মুখর হবে জাতীয় সংসদ। সংসদের প্রথম অধিবেশনে ফাঁকা থাকছে সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসন। জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিয়মানুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিদের নির্বাচিত করতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোট করার লক্ষ্যে চলতি মাসের শেষ দিকে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। যেহেতু গত ১১ জানুয়ালী মন্ত্রী পরিষদ গঠনের ফলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন চলাকালীনের মধ্যে ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করবে। সে লক্ষে সংরক্ষিত মহিলা আসনে যোগ্য প্রার্থীদের খুঁজতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। খুলনা ও বাগেরহাট জেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত মহিলা আসন-১১ এর সংরক্ষিত আসনে মহিলা এমপি কারা হচ্ছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুটি জেলায় শুরু হয়েছে আলোচনা। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন-১১ (খুলনা- বাগেরহাট) মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য হাফ ডজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সাবেক সংসদ ও দলের একাধিক নেত্রী। খুলনা-বাগেরহাটের এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জন্য যাদের ত্যাগ রয়েছে। এছাড়া সাবেক ছাত্রনেত্রী, শিক্ষক, দলের জন্য নিবেদিত অন্যান্য কর্মী বিশেষ করে মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ নেত্রীরা প্রাধান্য পাবে।
খুলনা ও বাগেরহাট জেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ১১ নম্বর আসনে সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, দশম সংসদের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ হেপী বড়াল, একাদশ সংসদের সদস্য ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ,ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী নেত্রী ৭ জানুয়ারী দ¦াদশ সংসদে খুলনা-৩ আসন থেকে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী, দ¦াদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনায়ন সংগ্রহকারী ও জাতীয় মহিলা সংস্থা খুলনার চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, খুলনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন নাহার কনা ু, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বানু লুসি।
অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার বলেন, আমি খুলনা-৩ আসনে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে অনেকদিন গণসংযোগসহ নির্বাচনী কর্মকান্ডের পাশাপাশী পাটকল শ্রমিক অধ্যাশিত এলাকার মানুষদের বৃথার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসহায় দরিদ্র কর্মহীন এবং নিন্ম আয়ের মানুষকে সর্বাক্ষনিক সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে দাড়িছে । ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে দল অন্য একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলের জন্য নিবেদিত হয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছি। আমি সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী এবং দলের কাছে আগ্রহের কথা জানিয়েছি।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট গ্রোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, খুলনা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু দল আমাকে দেয়নি। আমি সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ছিলাম। এবারও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবো।
ফাতেমা জামান সাথী বলেন,আমি সব সময় দলের হয়ে কাজ করি। দ¦াদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনায়ন সংগ্রহ করি। দল আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদককে মনোনয়ন দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রর্তীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আর সেই লক্ষ বাস্তবায়নে আমি দলের নিতিনির্ধারনী ফোরামে খুলনা ও বাগেরহাট নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত আসন-১১ এর সংসদ সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি ।
সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হেপী বড়াল বলেন,আমি আগে মহিলা সংসদ সদস্য ছিলাম। সব সময় দলের হয়ে কাজ করে চলছি । আমি আমার আগ্রহের কথা উপর মহলে জানিয়েছি । আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চুরান্ত ।
আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন নাহার কনা বলেন, নেতাকর্মীরা চাইছে আমি প্রার্থী হই। আমি নিজেও আগ্রহী। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসন রয়েছে। এর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মোট আসন পেয়েছে ২২৩টি। প্রতি ৬ আসনে একজন করে সংরক্ষিত মহিলা এমপি নির্বাচিত করার বিধান আছে। সে হিসেবে আওয়ামী লীগ পাবে ৩৭টি আসন। জাতীয় পার্টি ১১ এমপির বিপরীতে পাবে ২টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোট করলে তারা পাবে ১০টি আসন । তবে একটি করে আসন জেতায় ওয়ার্কার্স পার্টি,জাসদ ও কল্যাণ পার্টি সংরক্ষিত কেনো আসন পাবে না।