নরেন্দ্র মোদির মানহানির দায়ে রাহুল গান্ধীর দুই বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশগত পদবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এই বিরোধীদলীয় নেতা। খবর বিবিসি।

অবশ্য এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না রাহুল গান্ধীকে। তাকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দেয়া হয়েছে এবং এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

রায় ঘোষণার সময় গুজরাটের আদালতে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের এই সংসদ সদস্য।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। কর্ণাটকের কোলারে দলীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বলতে দিয়ে পদবি তুলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাহুল বলেছিলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে সব চোরদের পদবি মোদি হয় কীভাবে?’ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির মামলা করেন গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেন্দু মোদী।

দণ্ডবিধি ৪৪৯ ও ৫০০ ধারার এ মামলায় অভিযোগ ছিল, গোটা মোদি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, ওই সময় পলাতক হীরা টাইকুন নিরভ মোদি ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রধান ললিত মোদিকেও নির্দেশ করেছিলেন রাহুল।

কংগ্রেস নেতার আইনজীবীরা বলছেন, মামলায় সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। নরেন্দ্র মোদিরই উচিত ছিল অভিযোগটি করা। কারণ পূর্ণেশ মোদি ওই বক্তৃতার লক্ষ্য ছিলেন না।

তবে রায় নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি রাহুল গান্ধী। তিনি মহাত্মা গান্ধীর একটি উদ্ধৃতি হিন্দিতে টুইট করেছেন। যার অর্থ, সত্য ও অহিংসা আমার ধর্মের ভিত্তি। সত্যই আমার ঈশ্বর। অহিংসাই তা পাওয়ার উপায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নরেন্দ্র মোদির মানহানির দায়ে রাহুল গান্ধীর দুই বছরের জেল

Update Time : ০২:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশগত পদবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এই বিরোধীদলীয় নেতা। খবর বিবিসি।

অবশ্য এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না রাহুল গান্ধীকে। তাকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দেয়া হয়েছে এবং এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

রায় ঘোষণার সময় গুজরাটের আদালতে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের এই সংসদ সদস্য।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। কর্ণাটকের কোলারে দলীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বলতে দিয়ে পদবি তুলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাহুল বলেছিলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে সব চোরদের পদবি মোদি হয় কীভাবে?’ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির মামলা করেন গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেন্দু মোদী।

দণ্ডবিধি ৪৪৯ ও ৫০০ ধারার এ মামলায় অভিযোগ ছিল, গোটা মোদি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, ওই সময় পলাতক হীরা টাইকুন নিরভ মোদি ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রধান ললিত মোদিকেও নির্দেশ করেছিলেন রাহুল।

কংগ্রেস নেতার আইনজীবীরা বলছেন, মামলায় সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। নরেন্দ্র মোদিরই উচিত ছিল অভিযোগটি করা। কারণ পূর্ণেশ মোদি ওই বক্তৃতার লক্ষ্য ছিলেন না।

তবে রায় নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি রাহুল গান্ধী। তিনি মহাত্মা গান্ধীর একটি উদ্ধৃতি হিন্দিতে টুইট করেছেন। যার অর্থ, সত্য ও অহিংসা আমার ধর্মের ভিত্তি। সত্যই আমার ঈশ্বর। অহিংসাই তা পাওয়ার উপায়।