১৩ দফা দাবি নিয়ে ইবি উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ১৮৬ Time View

শাহিন রাজা, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এবার উপাচার্যের কাছে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩০ মে) বেলা ২ টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে তারা এ দাবি তুলে ধরেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে দাবি পূরনের আশ্বাস দেন।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. জয়শ্রী সেন উপস্থিত ছিলেন।

তাদের দাবি গুলো হলো:
গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যা নিরসন করা, সুপেয় পানীর ব্যাবস্থা করা, পর্যাপ্ত গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা করা, সব হলের ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, লাইব্রেরীতে নিজস্ব বই সংরক্ষণ ও রাত ৮.৩০ পর্যন্ত খোলা রাখা, জিমনেশিয়াম সপ্তাহে ৭ দিন খোলা রাখা, প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যাপ্ত আলো ও স্থাপনাগুলো নিয়মিত সংস্করণ করা, মেডিকেল এ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, বাসের পর্যাপ্ত শিডিউল নির্ধারণ করা এবং প্রতিটি হল থেকে বিদায়ী ব্যাচের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আপনাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তবে সমস্যা সমাধানের তো নির্দিষ্ট একটা পদ্ধতি রয়েছে। আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা গতকয়েকদিন থেকে কাজ করছি। রাতারাতি তো এগুলো সমাধান হয়ে যায় না। এতে আমাদের সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এবারের ছুটির ক্যালেন্ডার গতবারে প্রনয়ণ করা তাই এটা বাদ দেয়া যেবে না। তবে আগামীতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদের ছুটি একত্রে প্রনয়ণ করা হয়েছে।

এর আগে বেলা পৌনে ১টায় শিক্ষার্থীরা দাবি নিয়ে প্রক্টর অফিসে যান। সেখানে তারা দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ সংগঠননের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিই ছাত্রলীগের দাবি। সামনে যাতে আর মেইনগেট আটকানো না লাগে আপনারা সেই ব্যবস্থায় করবেন আশা করি। মানুষ যখন মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয় তখন সে মেইনগেট আটকানো থেকেও বড় কিছু করতে পারে। আমার অনুরোধ থাকবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে দাবি তা যেন পূরন করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল (সোমবার) শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় প্রায় আড়াই ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আলোচনায় বসার আশ্বাসে তারা মেইনগেটে তালা খুলে দেয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

১৩ দফা দাবি নিয়ে ইবি উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৬:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

শাহিন রাজা, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এবার উপাচার্যের কাছে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩০ মে) বেলা ২ টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে তারা এ দাবি তুলে ধরেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে দাবি পূরনের আশ্বাস দেন।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. জয়শ্রী সেন উপস্থিত ছিলেন।

তাদের দাবি গুলো হলো:
গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যা নিরসন করা, সুপেয় পানীর ব্যাবস্থা করা, পর্যাপ্ত গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা করা, সব হলের ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, লাইব্রেরীতে নিজস্ব বই সংরক্ষণ ও রাত ৮.৩০ পর্যন্ত খোলা রাখা, জিমনেশিয়াম সপ্তাহে ৭ দিন খোলা রাখা, প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যাপ্ত আলো ও স্থাপনাগুলো নিয়মিত সংস্করণ করা, মেডিকেল এ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, বাসের পর্যাপ্ত শিডিউল নির্ধারণ করা এবং প্রতিটি হল থেকে বিদায়ী ব্যাচের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আপনাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তবে সমস্যা সমাধানের তো নির্দিষ্ট একটা পদ্ধতি রয়েছে। আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা গতকয়েকদিন থেকে কাজ করছি। রাতারাতি তো এগুলো সমাধান হয়ে যায় না। এতে আমাদের সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এবারের ছুটির ক্যালেন্ডার গতবারে প্রনয়ণ করা তাই এটা বাদ দেয়া যেবে না। তবে আগামীতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদের ছুটি একত্রে প্রনয়ণ করা হয়েছে।

এর আগে বেলা পৌনে ১টায় শিক্ষার্থীরা দাবি নিয়ে প্রক্টর অফিসে যান। সেখানে তারা দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ সংগঠননের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিই ছাত্রলীগের দাবি। সামনে যাতে আর মেইনগেট আটকানো না লাগে আপনারা সেই ব্যবস্থায় করবেন আশা করি। মানুষ যখন মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয় তখন সে মেইনগেট আটকানো থেকেও বড় কিছু করতে পারে। আমার অনুরোধ থাকবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে দাবি তা যেন পূরন করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল (সোমবার) শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় প্রায় আড়াই ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আলোচনায় বসার আশ্বাসে তারা মেইনগেটে তালা খুলে দেয়।