হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী গর্ভবতী, কথিত নানা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ১৪১ Time View

 

শাওন পাটওয়ারীঃ

হাজীগঞ্জে কথিত নানার ধর্ষণে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে অবৈধ গর্ভপাত করে নবজাতক শিশুটিকে ডাস্টবিনে ফেলে দেন। এতে করে আনুমানিক ছয় মাসের নবজাতক শিশুটি (ছেলে) মারা যায়। এ ঘটনায় ধর্ষক কথিত নানা সিরাজুল ইসলামকে (৬০)-সহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) সালের ৯(১) মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকায় গাজী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ (পিপিএম বার)।

প্রেস ব্রিফিং জানা যায়, জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর দায়ে সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বকুল বেগম (২৮), পুত্রবধু সীমা আক্তার (২৮) গর্ভপাতকারী হাজীগঞ্জ ইসলামীয়া মর্ডান হাসপাতালের আয়া নাজমা বেগমকে আটক করা হয়।
আটককৃত কথিত নানা সিরাজুল ইসলাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের দাই বাড়ীর বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন আড়ং বাজার সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন এবং সেখানেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে ওই ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এই গর্ভপাত করানো হয়।

তাদের স্বীকারোক্তিতে এ দিন (বুধবার) রাতে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাজী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার ময়লা ফেলানো ভ্যানগাড়ীতে থাকা বালতির মধ্য থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভ্যানগাড়ী ও বালতিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়,ডিআই ওয়ান মনিরুল ইসলাম,হাজীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ জোবায়ের,চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন,সাধারন সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস,সাবেক সাধারন সম্পাদক এ এইচ এম আহসান উল্ল্যাহ,টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক আল ইমরান শোভন প্রমুখ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী গর্ভবতী, কথিত নানা আটক

Update Time : ০৩:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

 

শাওন পাটওয়ারীঃ

হাজীগঞ্জে কথিত নানার ধর্ষণে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে অবৈধ গর্ভপাত করে নবজাতক শিশুটিকে ডাস্টবিনে ফেলে দেন। এতে করে আনুমানিক ছয় মাসের নবজাতক শিশুটি (ছেলে) মারা যায়। এ ঘটনায় ধর্ষক কথিত নানা সিরাজুল ইসলামকে (৬০)-সহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) সালের ৯(১) মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকায় গাজী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ (পিপিএম বার)।

প্রেস ব্রিফিং জানা যায়, জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর দায়ে সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বকুল বেগম (২৮), পুত্রবধু সীমা আক্তার (২৮) গর্ভপাতকারী হাজীগঞ্জ ইসলামীয়া মর্ডান হাসপাতালের আয়া নাজমা বেগমকে আটক করা হয়।
আটককৃত কথিত নানা সিরাজুল ইসলাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের দাই বাড়ীর বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন আড়ং বাজার সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন এবং সেখানেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে ওই ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এই গর্ভপাত করানো হয়।

তাদের স্বীকারোক্তিতে এ দিন (বুধবার) রাতে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাজী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার ময়লা ফেলানো ভ্যানগাড়ীতে থাকা বালতির মধ্য থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভ্যানগাড়ী ও বালতিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়,ডিআই ওয়ান মনিরুল ইসলাম,হাজীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ জোবায়ের,চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন,সাধারন সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস,সাবেক সাধারন সম্পাদক এ এইচ এম আহসান উল্ল্যাহ,টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক আল ইমরান শোভন প্রমুখ।