সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫৬ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:

লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে ধস নামলেও শেষ পর্যন্ত ছোট দরপতন দিয়েই বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দিনের লেনদন শেষে হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

মূল্যসূচক ও লেনদেন কমলেও ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। অবশ্য লেনদেনের শুরুতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়।

এতে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৬৩ পয়েন্ট পড়ে যায়। ফলে আবারও বড় দরতপনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারবাজার। পতন থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। এতে ধস থেকে বেরিয়ে এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে আবারও কিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৭০ পয়েন্টে নেমে গেছে।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজারটিতে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির। আর ১১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন কমেছে ১০৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, লাফার্জহোলসিম, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিটি ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

Update Time : ০৪:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:

লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে ধস নামলেও শেষ পর্যন্ত ছোট দরপতন দিয়েই বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দিনের লেনদন শেষে হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

মূল্যসূচক ও লেনদেন কমলেও ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। অবশ্য লেনদেনের শুরুতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়।

এতে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৬৩ পয়েন্ট পড়ে যায়। ফলে আবারও বড় দরতপনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারবাজার। পতন থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। এতে ধস থেকে বেরিয়ে এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে আবারও কিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৭০ পয়েন্টে নেমে গেছে।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজারটিতে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির। আর ১১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন কমেছে ১০৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, লাফার্জহোলসিম, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিটি ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।