সুন্দরগঞ্জে রঙ্গিন মাছ চাষে বর্ণিল সপ্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সাগরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
  • / ১৯২ Time View

এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ

রঙিন মাছ চাষে স্বপ্ন দেখছে সাগর শখের বসে রঙিন মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাগর মিয়া নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষ করে জীবন রাঙাচ্ছেন এই যুবক। বাহারি রঙের মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। এমন রঙিন মাছ বাসাবাড়ির অ্যাকুরিয়ামে শোভা পেয়ে থাকে। ছোট-বড় এই মাছ গুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় সকলের। সারা বিশ্বে যখন করোনার ভয়াবহ থাবায় সবাই থমকে গেছেন ঠিক তখনি সাগর ও তার দুই বন্ধু মিলে তিন হাজার টাকা নিয়ে শখ করে মাছ পালন শুরু করেন। আর এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন এ মাছ।নিজ জেলার বিভিন্ন উপজেলা সহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা তার কাছে থেকে পাইকারি ক্রয় করেন।

রঙ্গিন মাছের খামার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাগর সরকার নামের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র । তার সফলতা দেখে এই মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকে। তার প্রতিষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার ৭ নং রামজীবন ইউনিয়নের ৩ নং সরকারটারী গ্রামে এই ফিশারির পুকুরে এখন ২০ থেকে ২৫ জাতের বিভিন্ন প্রজাতির আকর্ষণীয় ও বর্ণালী রঙিন মাছের চাষ হচ্ছে।

সাগর সরকার মাত্র ৩০০০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ বন্ধু মিলে মাছের খামার তৈরি করেন। শুরুর দিকে শীত থাকায় তারা অনেকটা ক্ষতির সম্মুখে পরেন তাই তার ২ বন্ধু এখান থেকে পিছিয়ে গেলেও পিছিয়ে যায়নি মোঃ সাগর সরকার পরবর্তীতে অল্প অল্প করে মাছ সংগ্রহ করতে থাকেন। মাত্র অল্প সময়ে এই ফিশারির পুকুরে এখন ২০/২৫ জাতের বিভিন্ন প্রজাতির আকর্ষণীয় এবং বর্ণালী রঙিন মাছের চাষ হচ্ছে। তার খামারে রয়েছে কৈ কার্ফ, কমেট, প্লাটি,গাপ্পি, জেব্রা, গোরামী,মলি,বেটা ফাইটার, লাল চিংড়ি, বেলুন মলি, লাল সর্টেল সহ বিভিন্ন রকমের রঙ্গিন মাছ।

মাছ চাষ নিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা সাগর মিয়া বলেন, আমার পুকুরের পানিতে ভাসছে নানা রঙের মাছ। লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি। গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটি, অ্যাঞ্জেল প্রভৃতি বর্ণিল মাছ দেখলে চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়।আমি বর্তমানে ২০-২৫প্রজাতির আকর্ষণীয় রঙ্গিন মাছ চাষ করছি এতে ৩০-৪০হাজার টাকা মাসে আয় করছি। এরপরে আমি আরো বড় পরিসরে মাছ চাষ করতে চাই যদি এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমাকে মাছ সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের দেশে অ্যাকুরিয়ামে রঙিন মাছ ব্যাপক জনপ্রিয়। শৌখিন মানুষেরা বাসা-বাড়িতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অ্যাকুরিয়ামে এমন মাছ রাখেন। শপিংমল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট এমনকি দোকানেও এখন অ্যাকুরিয়ামের ব্যবহার বেড়েছে। দিন যত যাচ্ছে এর ব্যবহারও ততই বাড়ছে। ফলে ধীরে ধীরে সেই বিদেশ নির্ভরতা কমে এসেছে। যার ফলে দেশের টাকা দেশেই থাকছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সুন্দরগঞ্জে রঙ্গিন মাছ চাষে বর্ণিল সপ্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সাগরের

Update Time : ০৪:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ

রঙিন মাছ চাষে স্বপ্ন দেখছে সাগর শখের বসে রঙিন মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাগর মিয়া নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষ করে জীবন রাঙাচ্ছেন এই যুবক। বাহারি রঙের মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। এমন রঙিন মাছ বাসাবাড়ির অ্যাকুরিয়ামে শোভা পেয়ে থাকে। ছোট-বড় এই মাছ গুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় সকলের। সারা বিশ্বে যখন করোনার ভয়াবহ থাবায় সবাই থমকে গেছেন ঠিক তখনি সাগর ও তার দুই বন্ধু মিলে তিন হাজার টাকা নিয়ে শখ করে মাছ পালন শুরু করেন। আর এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন এ মাছ।নিজ জেলার বিভিন্ন উপজেলা সহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা তার কাছে থেকে পাইকারি ক্রয় করেন।

রঙ্গিন মাছের খামার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাগর সরকার নামের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র । তার সফলতা দেখে এই মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকে। তার প্রতিষ্ঠিত গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার ৭ নং রামজীবন ইউনিয়নের ৩ নং সরকারটারী গ্রামে এই ফিশারির পুকুরে এখন ২০ থেকে ২৫ জাতের বিভিন্ন প্রজাতির আকর্ষণীয় ও বর্ণালী রঙিন মাছের চাষ হচ্ছে।

সাগর সরকার মাত্র ৩০০০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ বন্ধু মিলে মাছের খামার তৈরি করেন। শুরুর দিকে শীত থাকায় তারা অনেকটা ক্ষতির সম্মুখে পরেন তাই তার ২ বন্ধু এখান থেকে পিছিয়ে গেলেও পিছিয়ে যায়নি মোঃ সাগর সরকার পরবর্তীতে অল্প অল্প করে মাছ সংগ্রহ করতে থাকেন। মাত্র অল্প সময়ে এই ফিশারির পুকুরে এখন ২০/২৫ জাতের বিভিন্ন প্রজাতির আকর্ষণীয় এবং বর্ণালী রঙিন মাছের চাষ হচ্ছে। তার খামারে রয়েছে কৈ কার্ফ, কমেট, প্লাটি,গাপ্পি, জেব্রা, গোরামী,মলি,বেটা ফাইটার, লাল চিংড়ি, বেলুন মলি, লাল সর্টেল সহ বিভিন্ন রকমের রঙ্গিন মাছ।

মাছ চাষ নিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা সাগর মিয়া বলেন, আমার পুকুরের পানিতে ভাসছে নানা রঙের মাছ। লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি। গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটি, অ্যাঞ্জেল প্রভৃতি বর্ণিল মাছ দেখলে চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়।আমি বর্তমানে ২০-২৫প্রজাতির আকর্ষণীয় রঙ্গিন মাছ চাষ করছি এতে ৩০-৪০হাজার টাকা মাসে আয় করছি। এরপরে আমি আরো বড় পরিসরে মাছ চাষ করতে চাই যদি এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমাকে মাছ সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের দেশে অ্যাকুরিয়ামে রঙিন মাছ ব্যাপক জনপ্রিয়। শৌখিন মানুষেরা বাসা-বাড়িতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অ্যাকুরিয়ামে এমন মাছ রাখেন। শপিংমল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট এমনকি দোকানেও এখন অ্যাকুরিয়ামের ব্যবহার বেড়েছে। দিন যত যাচ্ছে এর ব্যবহারও ততই বাড়ছে। ফলে ধীরে ধীরে সেই বিদেশ নির্ভরতা কমে এসেছে। যার ফলে দেশের টাকা দেশেই থাকছে।