সুইস ব্যাংকে নিয়ে বিএফআইইউ’র প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:২২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৮৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুইস ব্যাংকে নিয়ে নাম-ঠিকানা মেনসন ছাড়া বিএফআইইউ’র প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। একই সাথে বুধবার বিএফআইইউ কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসকে তলব করেছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে সুইস ব্যাংকে অবৈধভাবে বাংলাদেশীরা যেসব অর্থ জমা রেখেছেন বা পাচার হয়েছে এ বিষয়ে সরকার বা দুদক কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা জানাতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে। আদালত সংবাদের রেফারেন্স টেনে জানতে চায় কি পরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানানোর নির্দেশ দেয়।

আদালত এ সংক্রান্ত পত্র-পত্রিকাসহ দুদক আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে পাওয়া তথ্য প্রতিবেদন আকারে সোমবার হাইকোর্টে জমা দেয় বিএফআইইউ। তবে মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ বলেন, প্রতিবেদনে কোন সিল এমনকি স্বাক্ষর নেই। এটি দায়সারা কাজ।

হাইকোর্ট বলে, এভাবে কাজ করলে আপনারা দুর্নীতি কিভাবে বন্ধ করবেন।

দুদকের আইনজীবী হাইকোর্টকে বলেন, “এটি কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”

পরে প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে বিএফআইইউ প্রধানকে তলব করে হাইকোর্ট।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হলেও মাত্র ১ জনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সুইস ব্যাংকে নিয়ে বিএফআইইউ’র প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট

Update Time : ১২:২২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুইস ব্যাংকে নিয়ে নাম-ঠিকানা মেনসন ছাড়া বিএফআইইউ’র প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। একই সাথে বুধবার বিএফআইইউ কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসকে তলব করেছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে সুইস ব্যাংকে অবৈধভাবে বাংলাদেশীরা যেসব অর্থ জমা রেখেছেন বা পাচার হয়েছে এ বিষয়ে সরকার বা দুদক কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা জানাতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে। আদালত সংবাদের রেফারেন্স টেনে জানতে চায় কি পরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানানোর নির্দেশ দেয়।

আদালত এ সংক্রান্ত পত্র-পত্রিকাসহ দুদক আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে পাওয়া তথ্য প্রতিবেদন আকারে সোমবার হাইকোর্টে জমা দেয় বিএফআইইউ। তবে মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ বলেন, প্রতিবেদনে কোন সিল এমনকি স্বাক্ষর নেই। এটি দায়সারা কাজ।

হাইকোর্ট বলে, এভাবে কাজ করলে আপনারা দুর্নীতি কিভাবে বন্ধ করবেন।

দুদকের আইনজীবী হাইকোর্টকে বলেন, “এটি কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”

পরে প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে বিএফআইইউ প্রধানকে তলব করে হাইকোর্ট।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হলেও মাত্র ১ জনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক।