সীমান্তে যুদ্ধবিমানের পর এবার ড্রোন মোতায়েন করছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১২৩ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ক্রমেই সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ভারত। চীন ও পাকিস্তানকে মোকাবিলায় সীমান্তে যুদ্ধবিমান পাঠানোর পর এবার ড্রোন মোতায়েন করছে ভারত। দেশটির সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হিরন মার্ক-২ সিরিজের নজরদারিতে সক্ষম এমন ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী এবার সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করেছে। উন্নত প্রযুক্তির এ ড্রোন যে কোনো লক্ষ্যে আক্রমণ ও নজরদারি চালাতে পারে। এ ড্রোন চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।

এএনআইয়ের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, সীমান্তে নজরদারি চালাতে সক্ষম এমন হিরন মার্ক-২ সিরিজের চারটি ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র মোকাবিলায় সক্ষম। এগুলো উত্তরাঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রাখা হয়েছে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ ড্রোন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যে কোনো দূরত্ব থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এটি একটানা ৩৬ ঘণ্টা অপারেশন চালাতে পারে এবং আলোকরশ্মির মাধ্যমে দূরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও নিজস্ব দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে পারে।

সীমান্তে যুদ্ধবিমানের পর এবার ড্রোন মোতায়েন করছে ভারত
নেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল, নেত্রীর আত্মহত্যা
এর আগে সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তে নতুন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ভারত। শ্রীনগরের বিমানঘাঁটিতে এ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়। ‘উন্নততর’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চীন ও পাকিস্তানের হুমকি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় বলে জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিটিভি।

ভারতীয় বিমনাবাহিনীর পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার বিপুল শর্মা বলেন, ‘কৌশলগত অবস্থানের কারণে শ্রীনগর বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানের সাহায্যে কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তের ওপর নজরদারি করা যাবে। নতুন এসব যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আমরা দুই ফ্রন্টেই শত্রুর মোকাবিলা করতে পারব।’

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আধুনিকীকরণের ফলে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এখন আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ও নিখুঁত। রাশিয়ার প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এসব যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি সরবরাহ করা যায়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে এখন এমন প্রযুক্তি রয়েছে। এ ছাড়া এসব যুদ্ধবিমান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন এবং বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সীমান্তে যুদ্ধবিমানের পর এবার ড্রোন মোতায়েন করছে ভারত

Update Time : ১০:১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ক্রমেই সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ভারত। চীন ও পাকিস্তানকে মোকাবিলায় সীমান্তে যুদ্ধবিমান পাঠানোর পর এবার ড্রোন মোতায়েন করছে ভারত। দেশটির সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হিরন মার্ক-২ সিরিজের নজরদারিতে সক্ষম এমন ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী এবার সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করেছে। উন্নত প্রযুক্তির এ ড্রোন যে কোনো লক্ষ্যে আক্রমণ ও নজরদারি চালাতে পারে। এ ড্রোন চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।

এএনআইয়ের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, সীমান্তে নজরদারি চালাতে সক্ষম এমন হিরন মার্ক-২ সিরিজের চারটি ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র মোকাবিলায় সক্ষম। এগুলো উত্তরাঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রাখা হয়েছে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ ড্রোন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যে কোনো দূরত্ব থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এটি একটানা ৩৬ ঘণ্টা অপারেশন চালাতে পারে এবং আলোকরশ্মির মাধ্যমে দূরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ ও নিজস্ব দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে পারে।

সীমান্তে যুদ্ধবিমানের পর এবার ড্রোন মোতায়েন করছে ভারত
নেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল, নেত্রীর আত্মহত্যা
এর আগে সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তে নতুন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ভারত। শ্রীনগরের বিমানঘাঁটিতে এ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়। ‘উন্নততর’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চীন ও পাকিস্তানের হুমকি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় বলে জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিটিভি।

ভারতীয় বিমনাবাহিনীর পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার বিপুল শর্মা বলেন, ‘কৌশলগত অবস্থানের কারণে শ্রীনগর বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানের সাহায্যে কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তের ওপর নজরদারি করা যাবে। নতুন এসব যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আমরা দুই ফ্রন্টেই শত্রুর মোকাবিলা করতে পারব।’

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আধুনিকীকরণের ফলে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এখন আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ও নিখুঁত। রাশিয়ার প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এসব যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি সরবরাহ করা যায়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে এখন এমন প্রযুক্তি রয়েছে। এ ছাড়া এসব যুদ্ধবিমান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন এবং বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।