সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ১৮ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৬ Time View

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। সিরিয়াভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে।

গত রোববার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। ওই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন। এর জবাবে গতকাল শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে এএফপিকে বলা হয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলায় ইরানসংশ্লিষ্ট সংগঠনের কমপক্ষে ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন।

সংস্থাটি আরও বলেছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানসংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহৃত কমপক্ষে ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্রের গুদামও আছে।

গতকাল হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা আজ থেকে জবাব দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের নির্ধারণ করা সময় অনুযায়ী নির্ধারিত জায়গাগুলোয় হামলা চলবে।’

মধ্যপ্রাচ্য কিংবা বিশ্বের কোথাও যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত চায় না বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায়, তাদের সতর্ক করে বাইডেন বলেন, ‘কোনো মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি করলে আমরা তার জবাব দেব।’

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি গতকাল বলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধুক, তা যুক্তরাষ্ট্র চায় না। সিরিয়া ও ইরাকে ইরানসংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কথা ভাবছি না।’

কারবি আরও বলেন, সাতটি আলাদা স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এসব বিমান হামলায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে যাওয়া বি-১ বোমারু বিমানও হামলায় অংশ নিয়েছিল। এতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণে কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন কারবি। তিনি বলেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, অভিযান সফল হয়েছে। সামনে এমন জবাব আরও দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন কারবি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ১৮ জন নিহত

Update Time : ০৩:০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। সিরিয়াভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে।

গত রোববার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। ওই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন। এর জবাবে গতকাল শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে এএফপিকে বলা হয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলায় ইরানসংশ্লিষ্ট সংগঠনের কমপক্ষে ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন।

সংস্থাটি আরও বলেছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানসংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহৃত কমপক্ষে ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্রের গুদামও আছে।

গতকাল হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা আজ থেকে জবাব দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের নির্ধারণ করা সময় অনুযায়ী নির্ধারিত জায়গাগুলোয় হামলা চলবে।’

মধ্যপ্রাচ্য কিংবা বিশ্বের কোথাও যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত চায় না বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায়, তাদের সতর্ক করে বাইডেন বলেন, ‘কোনো মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি করলে আমরা তার জবাব দেব।’

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি গতকাল বলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধুক, তা যুক্তরাষ্ট্র চায় না। সিরিয়া ও ইরাকে ইরানসংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কথা ভাবছি না।’

কারবি আরও বলেন, সাতটি আলাদা স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এসব বিমান হামলায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে যাওয়া বি-১ বোমারু বিমানও হামলায় অংশ নিয়েছিল। এতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণে কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন কারবি। তিনি বলেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, অভিযান সফল হয়েছে। সামনে এমন জবাব আরও দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন কারবি।