সরকার সব দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার করবে : পরিবেশ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:০৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৮ Time View

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকার সমস্ত দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি জানান, ‘দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার একর জমি ইতোমধ্যে দখল হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ২৭ হাজার একর জমি পুনরুদ্ধার হয়েছে। বাকি দখলকৃত জমি উদ্ধারের কাজ চলছে।’

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আজ সংসদে এ কথা বলেন।

সাবের চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য বনভূমির জমি ব্যবহার করা হয়। রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুৎ বিতরণের খুঁটি স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বনভূমি ব্যবহারের ফলে সংরক্ষিত বন উজাড় হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের প্রকল্পে জমির প্রকৃতি উল্লেখ করতে হবে। যখন তারা (কর্তৃপক্ষ) বনভূমি অধিগ্রহণ পরিচালনা করে তখন ভূমির প্রকৃতির উল্লেখ করতে হবে। যখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে, তখন তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

সরকারি দলের সদস্য এসএম আতাউল হকের উত্থাপিত অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হবে। যেহেতু সুন্দরবন একটি অনন্য পরিবেশগত এলাকা এবং এটি একটি নদী দ্বারা বিভক্ত, তাই বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।’

সরকারি দলের অপর সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর বায়ু দূষণ কমাতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে দুষণের উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালিত ইটভাটা। সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালিত দেশের ইটভাটাগুলোতে ১৩ কোটি মেট্রিক টন কৃষি মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঢাকার বায়ু দুষণের আরেকটি কারণ হচ্ছে, রাজধানীতে যেসব বালু, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী আনা হয় এগুলো উন্মুক্ত উপায়ে আনা হয়। এছাড়া ঢাকা শহরে যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে বায়ু দুষণ হয়। বায়ু দুষণ রোধে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে তিনি সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সরকার সব দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার করবে : পরিবেশ মন্ত্রী

Update Time : ০৯:০৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকার সমস্ত দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি জানান, ‘দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার একর জমি ইতোমধ্যে দখল হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ২৭ হাজার একর জমি পুনরুদ্ধার হয়েছে। বাকি দখলকৃত জমি উদ্ধারের কাজ চলছে।’

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আজ সংসদে এ কথা বলেন।

সাবের চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য বনভূমির জমি ব্যবহার করা হয়। রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুৎ বিতরণের খুঁটি স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বনভূমি ব্যবহারের ফলে সংরক্ষিত বন উজাড় হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের প্রকল্পে জমির প্রকৃতি উল্লেখ করতে হবে। যখন তারা (কর্তৃপক্ষ) বনভূমি অধিগ্রহণ পরিচালনা করে তখন ভূমির প্রকৃতির উল্লেখ করতে হবে। যখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে, তখন তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

সরকারি দলের সদস্য এসএম আতাউল হকের উত্থাপিত অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হবে। যেহেতু সুন্দরবন একটি অনন্য পরিবেশগত এলাকা এবং এটি একটি নদী দ্বারা বিভক্ত, তাই বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।’

সরকারি দলের অপর সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর বায়ু দূষণ কমাতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে দুষণের উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালিত ইটভাটা। সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালিত দেশের ইটভাটাগুলোতে ১৩ কোটি মেট্রিক টন কৃষি মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঢাকার বায়ু দুষণের আরেকটি কারণ হচ্ছে, রাজধানীতে যেসব বালু, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী আনা হয় এগুলো উন্মুক্ত উপায়ে আনা হয়। এছাড়া ঢাকা শহরে যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে বায়ু দুষণ হয়। বায়ু দুষণ রোধে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে তিনি সচেতন হওয়ার আহবান জানান।