সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:২১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ২০৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন বাতিলের আবেদনের অনুমতি দেয়।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে। এর আগে সোমবার সকালে আদালত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে।”

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন।

সম্রাটের চারটি মামলার কোনোটিরই বিচারকাজ শুরু হয়নি। তবে তিনটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আরেকটি মামলার তদন্তই শেষ হয়নি।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। তবে এক সপ্তাহ পর ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্ট জামিন বাতিল করে তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ ২২ আগস্ট তিনি এ মামলায় জামিন পান।

এরপরও তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। গত শুক্রবার তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন

Update Time : ১২:২১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন বাতিলের আবেদনের অনুমতি দেয়।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে। এর আগে সোমবার সকালে আদালত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে।”

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন।

সম্রাটের চারটি মামলার কোনোটিরই বিচারকাজ শুরু হয়নি। তবে তিনটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আরেকটি মামলার তদন্তই শেষ হয়নি।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। তবে এক সপ্তাহ পর ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্ট জামিন বাতিল করে তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ ২২ আগস্ট তিনি এ মামলায় জামিন পান।

এরপরও তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। গত শুক্রবার তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন।