শাবিপ্রবির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৪৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা সশরীরে ঢাকায় না এসে অনলাইনে বা ভার্চুয়ালি আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে প্রেস কনফারেন্সে শিক্ষার্থীরা এ তথ্য জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এসময়ে আমাদের পক্ষে ঢাকা গিয়ে আলোচনা করার মতো অবস্থা নেই। কারণ আমাদের প্রতিনিধি দলে অনশনরত একজন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাই আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানাই তিনি যদি একটু সময় বের করে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে সিলেটে আসেন। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বই এখন অনলাইনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাই আমরাও এ আলোচনা অনলাইনে করতে পারি। এতে অনশনরত শিক্ষার্থীও অংশ নিতে পারবেন।’

এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষামন্ত্রীর পাঠানো প্রতিনিধি হয়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আপনাদের এখানে আসতে চাচ্ছেন। তবে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি দুই-একদিনের মধ্যে আসতে পারছেন না। কিন্তু তিনি আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা যতজন চান তারা ঢাকায় আলোচনায় বসতে পারবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে অনলাইনে তো সব বিষয়ে আলোচনা হয় না। সামনা-সামনি অনেক বিষয় উঠে আসে। এজন্য তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) সামনা-সামনি বসতে চাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ঢাকায় যেতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সরাসরি কথা বললে বিষয়টি ভালোভাবে সমাধান হতো।’

পরে শিক্ষার্থীরা অনলাইনেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলে জানিয়েছেন।

পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ১৯ জানুয়ারি অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এদিন বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। তবে একজন শিক্ষার্থীর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি অনশন ভেঙে বাড়ি যান। বাকিদের মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন আর অনশনস্থলে থাকা ১১ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়।

২০ জানুয়ারি রাতে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন। এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে দিনগত রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শাবিপ্রবির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান শিক্ষামন্ত্রী

Update Time : ১২:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা সশরীরে ঢাকায় না এসে অনলাইনে বা ভার্চুয়ালি আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে প্রেস কনফারেন্সে শিক্ষার্থীরা এ তথ্য জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এসময়ে আমাদের পক্ষে ঢাকা গিয়ে আলোচনা করার মতো অবস্থা নেই। কারণ আমাদের প্রতিনিধি দলে অনশনরত একজন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাই আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানাই তিনি যদি একটু সময় বের করে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে সিলেটে আসেন। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বই এখন অনলাইনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাই আমরাও এ আলোচনা অনলাইনে করতে পারি। এতে অনশনরত শিক্ষার্থীও অংশ নিতে পারবেন।’

এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষামন্ত্রীর পাঠানো প্রতিনিধি হয়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আপনাদের এখানে আসতে চাচ্ছেন। তবে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি দুই-একদিনের মধ্যে আসতে পারছেন না। কিন্তু তিনি আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা যতজন চান তারা ঢাকায় আলোচনায় বসতে পারবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে অনলাইনে তো সব বিষয়ে আলোচনা হয় না। সামনা-সামনি অনেক বিষয় উঠে আসে। এজন্য তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) সামনা-সামনি বসতে চাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ঢাকায় যেতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সরাসরি কথা বললে বিষয়টি ভালোভাবে সমাধান হতো।’

পরে শিক্ষার্থীরা অনলাইনেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলে জানিয়েছেন।

পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ১৯ জানুয়ারি অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এদিন বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। তবে একজন শিক্ষার্থীর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি অনশন ভেঙে বাড়ি যান। বাকিদের মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন আর অনশনস্থলে থাকা ১১ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়।

২০ জানুয়ারি রাতে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন। এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে দিনগত রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন।