রাশিয়ার লক্ষ্য ইউক্রেনকে ভেঙে ফেলা: আকোপভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:৫১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ১২২ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

পিওত্র আকোপভ নামে একজন প্রবীণ ক্রেমলিনপন্থী ভাষ্যকার বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য হলো “এই ভূখণ্ডকে ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলা এবং পর্যায়ক্রমে পুনর্বিন্যাস করা”।

এই রুশ বিশ্লেষকের ভাষ্য, “সবাই এখন বুঝতে পেরেছে যে, রুশ সামরিক অভিযান দীর্ঘ সময় ধরেই চলবে”।

রুশ সরকার পরিচালিত আরআইএ নভোস্তি সংবাদে প্রকাশিত তার ভাষ্যটির শিরোনাম “রাশিয়া ইউক্রেনে কৌশল পরিবর্তন করছে, কিন্তু যুদ্ধকৌশল নয়”।

এটি মূলত শুক্রবার রুস্তম মিনেকায়েভ নামে একজন শীর্ষ রুশ জেনারেলের একটি বক্তৃতাকে প্রতিধ্বনিত করে, যেখানে রুশ বাহিনী পূর্বে ডনবাস থেকে পশ্চিমে মোলদোভা পর্যন্ত ইউক্রেনের সমগ্র উপকূলরেখার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

মলদোভার মস্কোপন্থী অঞ্চল ট্র্যান্সনিস্ট্রিয়াতেও রাশিয়ার সৈন্য রয়েছে বলে জানান তিনি।

আকোপভ বলেন, “অধিকৃত অঞ্চলগুলোর যে কোনো স্থান থেকে আমাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করার প্রশ্নই আসেনা। যদি আমরা দ্বিতীয় পর্বের লক্ষ্যটি ইউক্রেনের দক্ষিণে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহণ করি, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে, তৃতীয় পর্বটিও অনিবার্য- অর্থাৎ সমস্ত নভোরোসিয়ার নিয়ন্ত্রণ।”

রাশিয়ান জাতীয়তাবাদীরা “নভোরোসিয়া” (অর্থাৎ নতুন রাশিয়া) বলতে দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি বিশাল অংশকেই দেখেন, যা একসময় সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়ার অন্তর্গত ছিল। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, উত্তরের খারকিভ অঞ্চলও “নভোরোশিয়া”র অন্তর্ভুক্ত হবে।

পিওত্র আকোপভ বলেন, কিয়েভ এবং লভিভকে দখল করা রাশিয়ার দরকার নেই, কারণ “দক্ষিণাঞ্চলের পতনের পর সত্ত্বা হিসাবে ইউক্রেন ভেঙে পড়তে শুরু করবে”।

তিনি আরও বলেন, এই “পতন” অবশ্যই ঘটবে। “এমনকি খারকিভের আত্মসমর্পণের অপেক্ষা না করেও এবং পুরো নভোরোশিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম না করেও। কারণ দক্ষিণের পরাজয় ইউক্রেনকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবে বিদ্যমান থাকার সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত করবে”। সূত্র- বিবিসি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রাশিয়ার লক্ষ্য ইউক্রেনকে ভেঙে ফেলা: আকোপভ

Update Time : ০৮:৫১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

পিওত্র আকোপভ নামে একজন প্রবীণ ক্রেমলিনপন্থী ভাষ্যকার বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য হলো “এই ভূখণ্ডকে ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলা এবং পর্যায়ক্রমে পুনর্বিন্যাস করা”।

এই রুশ বিশ্লেষকের ভাষ্য, “সবাই এখন বুঝতে পেরেছে যে, রুশ সামরিক অভিযান দীর্ঘ সময় ধরেই চলবে”।

রুশ সরকার পরিচালিত আরআইএ নভোস্তি সংবাদে প্রকাশিত তার ভাষ্যটির শিরোনাম “রাশিয়া ইউক্রেনে কৌশল পরিবর্তন করছে, কিন্তু যুদ্ধকৌশল নয়”।

এটি মূলত শুক্রবার রুস্তম মিনেকায়েভ নামে একজন শীর্ষ রুশ জেনারেলের একটি বক্তৃতাকে প্রতিধ্বনিত করে, যেখানে রুশ বাহিনী পূর্বে ডনবাস থেকে পশ্চিমে মোলদোভা পর্যন্ত ইউক্রেনের সমগ্র উপকূলরেখার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

মলদোভার মস্কোপন্থী অঞ্চল ট্র্যান্সনিস্ট্রিয়াতেও রাশিয়ার সৈন্য রয়েছে বলে জানান তিনি।

আকোপভ বলেন, “অধিকৃত অঞ্চলগুলোর যে কোনো স্থান থেকে আমাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করার প্রশ্নই আসেনা। যদি আমরা দ্বিতীয় পর্বের লক্ষ্যটি ইউক্রেনের দক্ষিণে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহণ করি, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে, তৃতীয় পর্বটিও অনিবার্য- অর্থাৎ সমস্ত নভোরোসিয়ার নিয়ন্ত্রণ।”

রাশিয়ান জাতীয়তাবাদীরা “নভোরোসিয়া” (অর্থাৎ নতুন রাশিয়া) বলতে দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি বিশাল অংশকেই দেখেন, যা একসময় সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়ার অন্তর্গত ছিল। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, উত্তরের খারকিভ অঞ্চলও “নভোরোশিয়া”র অন্তর্ভুক্ত হবে।

পিওত্র আকোপভ বলেন, কিয়েভ এবং লভিভকে দখল করা রাশিয়ার দরকার নেই, কারণ “দক্ষিণাঞ্চলের পতনের পর সত্ত্বা হিসাবে ইউক্রেন ভেঙে পড়তে শুরু করবে”।

তিনি আরও বলেন, এই “পতন” অবশ্যই ঘটবে। “এমনকি খারকিভের আত্মসমর্পণের অপেক্ষা না করেও এবং পুরো নভোরোশিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম না করেও। কারণ দক্ষিণের পরাজয় ইউক্রেনকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবে বিদ্যমান থাকার সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত করবে”। সূত্র- বিবিসি।