রাজধানীতে সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ১২:০২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 14

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানীতে সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করেছিলেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে কাউন্টার ফটোর ক্যাম্পাসে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই ভাগে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা পরিচালনা করেন ‘মনের বন্ধু’র মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

কাউন্টার ফটো আয়োজিত ও বিজেআইএম-এর সমন্বয়ে পরিচালিত কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ইন্টারনিউজ নেটওয়ার্ক।

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দিনগুলোতে ছবি ও সংবাদ সংগ্রহে সম্মুখভাগে থাকা সাংবাদিকদের অনেকেই গুরুতর ট্রমা ও পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারসহ উল্লেখযোগ্য মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। নিজেদের অজান্তেই এমন মানসিক চাপ বয়ে বেড়ানো সাংবাদিকদের মানসিক চাপ মোকাবিলা করে সুস্থ চিন্তা ও সাংবাদিকতার মতো গুরত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনে সাহায্য করার লক্ষ্যেই ‘ব্রেদিং আউট বার্ডেন’ বা ‘ভারমুক্তি’র নিঃশ্বাস’ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।

বিজেআইএম-এর আহ্বায়ক স্যাম জাহান বলেন, ‘আমাদের সাংবাদিকদের অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার গুরুত্ব বা পিটিএসডি দীর্ঘদিন ধরে বহন করলে কী সমস্যা হতে পারে তা বুঝতে পারে না।

কর্মশালাটি সাংবাদিকদের মানসিক চাপ লাঘবে খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের সহকর্মীদের জন্য এ ধরণের আরো সেশন আয়োজনের চেষ্টা করব।’
কাউন্টার ফটোর অধ্যক্ষ সাইফুল হক অমি বলেন, ‘আমাদের কাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো, সহিংসতা, অত্যাচার ও মানুষের প্রতি অমানবিক কাজের সম্মুখীন হওয়া। আমাদের দায়িত্ব হলো, যখনই এসব ঘটনা ঘটে তা নথিভুক্ত করা।

অবশ্য সব সময় আমরা উপলব্ধি করতে পারি না, এমন ঘটনা আমাদের মনস্তত্বে এমন আঘাত রেখে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমাদের দায়িত্ব হলো, বাস্তবতা স্বীকার করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া।’

ইন্টারনিউজ নেটওয়ার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শামীম আরা শিউলী বলেন, ‘আমরা এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হতে চেয়েছিলাম। কারণ তা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আমরা অনেকেই সংবাদমাধ্যমে ভয়াবহতার খবর ও ছবি দেখে মর্মাহত হয়েছি।

হয়তো কল্পনাও করতে পারব না, যারা সরাসরি মাঠে কাজ করেছেন তাদের জন্য তা কতটা কঠিন ছিল। আমি আশা করি, এই কাউন্সিলিং সেশন অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মানসিক চাপ কিছুটাও লাঘব করবে।’

‘মনের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তৌহিদা শিরোপা বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রত্যেকেরই আরো মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে সাংবাদিকদের। মনের বন্ধু সবসময় তাদের জন্য নির্ভরতার জায়গা হিসেবে থাকবে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রাজধানীতে সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Update Time : ১২:০২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানীতে সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করেছিলেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে কাউন্টার ফটোর ক্যাম্পাসে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই ভাগে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা পরিচালনা করেন ‘মনের বন্ধু’র মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

কাউন্টার ফটো আয়োজিত ও বিজেআইএম-এর সমন্বয়ে পরিচালিত কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ইন্টারনিউজ নেটওয়ার্ক।

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দিনগুলোতে ছবি ও সংবাদ সংগ্রহে সম্মুখভাগে থাকা সাংবাদিকদের অনেকেই গুরুতর ট্রমা ও পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারসহ উল্লেখযোগ্য মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। নিজেদের অজান্তেই এমন মানসিক চাপ বয়ে বেড়ানো সাংবাদিকদের মানসিক চাপ মোকাবিলা করে সুস্থ চিন্তা ও সাংবাদিকতার মতো গুরত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনে সাহায্য করার লক্ষ্যেই ‘ব্রেদিং আউট বার্ডেন’ বা ‘ভারমুক্তি’র নিঃশ্বাস’ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।

বিজেআইএম-এর আহ্বায়ক স্যাম জাহান বলেন, ‘আমাদের সাংবাদিকদের অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার গুরুত্ব বা পিটিএসডি দীর্ঘদিন ধরে বহন করলে কী সমস্যা হতে পারে তা বুঝতে পারে না।

কর্মশালাটি সাংবাদিকদের মানসিক চাপ লাঘবে খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের সহকর্মীদের জন্য এ ধরণের আরো সেশন আয়োজনের চেষ্টা করব।’
কাউন্টার ফটোর অধ্যক্ষ সাইফুল হক অমি বলেন, ‘আমাদের কাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো, সহিংসতা, অত্যাচার ও মানুষের প্রতি অমানবিক কাজের সম্মুখীন হওয়া। আমাদের দায়িত্ব হলো, যখনই এসব ঘটনা ঘটে তা নথিভুক্ত করা।

অবশ্য সব সময় আমরা উপলব্ধি করতে পারি না, এমন ঘটনা আমাদের মনস্তত্বে এমন আঘাত রেখে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমাদের দায়িত্ব হলো, বাস্তবতা স্বীকার করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া।’

ইন্টারনিউজ নেটওয়ার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শামীম আরা শিউলী বলেন, ‘আমরা এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হতে চেয়েছিলাম। কারণ তা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আমরা অনেকেই সংবাদমাধ্যমে ভয়াবহতার খবর ও ছবি দেখে মর্মাহত হয়েছি।

হয়তো কল্পনাও করতে পারব না, যারা সরাসরি মাঠে কাজ করেছেন তাদের জন্য তা কতটা কঠিন ছিল। আমি আশা করি, এই কাউন্সিলিং সেশন অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মানসিক চাপ কিছুটাও লাঘব করবে।’

‘মনের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তৌহিদা শিরোপা বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রত্যেকেরই আরো মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে সাংবাদিকদের। মনের বন্ধু সবসময় তাদের জন্য নির্ভরতার জায়গা হিসেবে থাকবে।’