রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩ Time View

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আসন্ন রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না। এর মধ্যে মন্ত্রীর নির্দেশে চারটি পণ্যের ক্যারিট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহেই আমরা আমদানিকারক ও যারা তৈরি করে তাদের সঙ্গে বসে তেলের দাম ঠিক করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে খেজুরের টেরিস কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নিজ বাস ভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের পেঁয়াজ ও চিনি সরবরাহের জন্য রাজি হয়েছে। আমরা আশা করছি ভারতসহ অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে পারি সেজন্য আমরা কাজ করবো। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চালের কোনো সংকট নেই। আমাদের প্রায় ১৭ লাখ টনের ওপরে চালের মজুত রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, আমনের আবাদ ভালো হয়েছে।

তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা আমাকে বলেছেন, আগে বিভিন্ন জাহাজ থেকে মাল আসতো। তাদের পণ্যটি সরাসরি তারা সারা বাংলাদেশে সরবরাহ করতে পারতো। কিন্তু এখন যারা জাহাজের মালিক তারাই মিলের মালিক, তারাই সরবরাহকারী। জাহাজ ও মিলের মালিক দুই-চারজন আছেন। তারা যেন এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করবো। খাতুনগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বাদামতলীসহ হোলসেল মার্কেট রয়েছে তারাও যেন পণ্য আমদানি করে সরবরাহ ঠিক রাখতে পারে সেটাও আমরা ব্যবস্থা করবো। দুই, চার, দশটা কোম্পানির কাছে আমাদের পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা যেন জিম্মি হয়ে না থাকে। আমাদের টিসিবি একটা উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা পালন করবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Update Time : ০৬:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আসন্ন রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না। এর মধ্যে মন্ত্রীর নির্দেশে চারটি পণ্যের ক্যারিট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহেই আমরা আমদানিকারক ও যারা তৈরি করে তাদের সঙ্গে বসে তেলের দাম ঠিক করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে খেজুরের টেরিস কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নিজ বাস ভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের পেঁয়াজ ও চিনি সরবরাহের জন্য রাজি হয়েছে। আমরা আশা করছি ভারতসহ অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে পারি সেজন্য আমরা কাজ করবো। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চালের কোনো সংকট নেই। আমাদের প্রায় ১৭ লাখ টনের ওপরে চালের মজুত রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, আমনের আবাদ ভালো হয়েছে।

তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা আমাকে বলেছেন, আগে বিভিন্ন জাহাজ থেকে মাল আসতো। তাদের পণ্যটি সরাসরি তারা সারা বাংলাদেশে সরবরাহ করতে পারতো। কিন্তু এখন যারা জাহাজের মালিক তারাই মিলের মালিক, তারাই সরবরাহকারী। জাহাজ ও মিলের মালিক দুই-চারজন আছেন। তারা যেন এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করবো। খাতুনগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বাদামতলীসহ হোলসেল মার্কেট রয়েছে তারাও যেন পণ্য আমদানি করে সরবরাহ ঠিক রাখতে পারে সেটাও আমরা ব্যবস্থা করবো। দুই, চার, দশটা কোম্পানির কাছে আমাদের পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা যেন জিম্মি হয়ে না থাকে। আমাদের টিসিবি একটা উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা পালন করবে।