মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:১৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৩৭ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিতর্ক শেষে আইনপ্রণেতারা (এমপি) এই প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোট দেবেন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চলমান সহিংসতার জেরে গেলো মাসে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) পক্ষ থেকে আলাদা আরেকটি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন নম নাগেশ্বর রাও।

বিতর্কে সরকারের পক্ষে কথা বলবেন পাঁচ মন্ত্রী- অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং কিরেন রিজিজু। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অন্যদিকে সদ্য লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিরোধী দলের পক্ষে বিতর্কে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদি সরকারের জন্য কোনো সঙ্কট তৈরি হবে না। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে অন্তত ৫০ সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন। ইন্ডিয়া জোটের সেই সংখ্যক সমর্থন থাকলেও প্রস্তাবটি পাস করানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধীদের নেই।

জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) হচ্ছে ভারতের মধ্য-ডান এবং ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জোট। এই জোটের নেতৃত্বে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ক্ষমতাসীন এনডিএ’র রয়েছে ৩৩১টি আসন। অন্যদিকে বিরোধী দল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আসন ১৪৪টি। আর লোকসভায় বিআরএসের রয়েছে মাত্র ৯টি আসন।

বিরোধী দলগুলো বলছে, মণিপুর নিয়ে সরকারের ‘নীরবতা’ ভাঙাতেই তারা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।

এর আগে ২০১৮ সালেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তেলুগু দেশম পার্টি। ৩২৫-১২৬ ভোটে তা খারিজ হয়েছিল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু

Update Time : ০৩:১৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিতর্ক শেষে আইনপ্রণেতারা (এমপি) এই প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোট দেবেন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চলমান সহিংসতার জেরে গেলো মাসে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) পক্ষ থেকে আলাদা আরেকটি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন নম নাগেশ্বর রাও।

বিতর্কে সরকারের পক্ষে কথা বলবেন পাঁচ মন্ত্রী- অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং কিরেন রিজিজু। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অন্যদিকে সদ্য লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিরোধী দলের পক্ষে বিতর্কে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদি সরকারের জন্য কোনো সঙ্কট তৈরি হবে না। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে অন্তত ৫০ সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন। ইন্ডিয়া জোটের সেই সংখ্যক সমর্থন থাকলেও প্রস্তাবটি পাস করানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধীদের নেই।

জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) হচ্ছে ভারতের মধ্য-ডান এবং ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জোট। এই জোটের নেতৃত্বে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ক্ষমতাসীন এনডিএ’র রয়েছে ৩৩১টি আসন। অন্যদিকে বিরোধী দল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আসন ১৪৪টি। আর লোকসভায় বিআরএসের রয়েছে মাত্র ৯টি আসন।

বিরোধী দলগুলো বলছে, মণিপুর নিয়ে সরকারের ‘নীরবতা’ ভাঙাতেই তারা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।

এর আগে ২০১৮ সালেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তেলুগু দেশম পার্টি। ৩২৫-১২৬ ভোটে তা খারিজ হয়েছিল।